পেগাসাস বিতর্কে বৃহস্পতিবারও উত্তাল হয়েছিল সংসদ। অভিযোগ, রাজ্যসভায় এই নিয়ে বিবৃতি পাঠ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অভিযোগ, মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতির কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এদিকে ঘটনার জেরে শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হতে পারে বলে দাবি সূত্রের। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর অভিযোগ, অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর নাকি তাঁকে ডেকে অপমান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। শুধু তাই নয়, শান্তনুর অভিযোগ, তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে শান্তনু সেন দাবি করেন, তাঁ বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠুক কি তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি করা হোক, তিনি তা নিয়ে চিন্তিত নন। এই বিষয়ে শান্তনু সেনের পাশে ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের অপর দুই বর্ষীয়ান নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং সুখেন্দুশেখর রায়। এই বিষয়ে ডেরেকের বক্তব্য, 'কেন্দ্রীয় সরকার যদি মামলা করে তবে দেখে নেব। কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে আমি রুলবুক ছিঁড়েছি। কিন্তু এর কোনও প্রমাণ বা ভিডিয়ো আছে? সরকার সূত্রের নাম করে এসব খবর আমদানি করে।' এদিকে সুখেন্দুশেখর এই বিষয়ে বলেন, 'পেগাসাস ইস্যুতে আমরা প্রশ্ন তোলায় তা নিয়ে সংসদে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এর জেরে অধিবেশন মুলতুবি হয়।'এদিকে যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেই শান্তনু সেনের দাবি, 'অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা হওয়ার পর মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এরপর তিনি আমার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলেন,অপমান করেন, হুমকি পর্যন্ত দেন। আমার উপর শারীরিক ভাবে হামলা করার চেষ্টা করা হয়। আমার দলের সতীর্থরা আ' এদিকে বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যসভার ২৫৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চলেছে তারা। চলতি বাদল অধিবেশনে যাতে তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়, তার দাবি জানিয়ে শুক্রবার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জমা দেবে বিজেপি।