সরকারের প্রস্তাবিত তিনটি কৃষি বিলের প্রতিবাদ করে মোদী সরকার থেকে ইস্তফা দিলেন অকালি দলের হরসিমরত কৌর বাদল। বৃহস্পতিবার লোকসভায় অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল ঘোষণা করেছিলেন যে হরসিমরত ইস্তꦗফা দেবেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই সরকারি ভাবে ইস্তফা পাঠিয়েছেন সুখবীরের স্ত্রী তথা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল।
নিজের ইস্তফা পত্রে হরসিমরত জানান যে কোনও চাষী বিরোধী সিদ্ধান্তের শরিক তিনি হতে পারꦿবেন না। অকালি দলের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন যে তাঁরা চিরকালই কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন করে এসেছেন। চাষীদের বিশ্বাস তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাতে সেটায় কোনও আপোষ করা যাব✨ে না। এনডিএ সরকারের পঞ্জাবের স্বার্থে কাজ করে চলবে বলে তিনি তাঁর ইস্তফা পত্রে আশা প্রকাশ করেন। পরে টুইটারেও নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান অকালি নেত্রী।
বর্তমানে মোদী ক্যাবিনেটে অকালি দলের একমাত্র সদস্য ছিলেন হরসিমরত কৌর বাদল। তা🍎ঁর ইস্তফার অর্থ হল ক্যাবিনেট থেকে বেরিয়ে গেল বিজেপির সবচেয়ে পুরনো সঙ্গী অকালি দল। তবে জোটের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি এক শীর্ষ বিজেপি নেতার। তিনি জানিয়েছেন মতভেদের বিষয়গুলি মিটিয়ে ফেলা হবে।
তবে এই তিন কৃষি বিল নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা বিজেপি হাইকম্যান্ডকে বারবার জানিয়েছে অকালি দল। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা তাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে এই বিলগুলিতে চাষীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে না। কিন্তু সেই আশ্বাসে কর্ণপাত করেননি অকালি নেতারা। অবশেষে তাই মন্ত্রিসভা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত। হরসিমরত কৌর বাদল ইস্তফা পত্রে লিখেছেন যে যারা কৃষক তাদের সঙ্গে কথা না বলেই এই সব বিল নিয়ে এসেছে কেন্দ্র। তিনি এই সম্বন্ধে আপত্তি করলেও সেগুলি😼 শোনা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। এই তিনটি বিল হল The Farmers' Produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation) Bill, 2020 The Farmers (Empowerment and Protection) Agreement on Price Assurance and Farm Services Bill, 2020,Essential Commodities (Amendment) Bill.
শুধু অকালি দল নয় সারা দেশের কৃষক সংগঠন এই বিলগুলির বিরোধিতা করেছে। এমনকী দক্ষিণওপন্থী সংগঠনগুলিও বলছে যে কৃষকদের স্বার্থ সুনিশ্চিত না করে কোনও সংস্কার হতে পারে না ওই সেক্টরে।
এদিন লোকসভায় সুখবীর বাদল বলেন প্রস্তাবিত আইনগুলি কৃষি ক্ষেত্রকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পঞ্জাবের বিভিন্ন সরকারের ৫০ বছরের কাজকে ধুলিসাৎ করে দেবে। অকালি নেতাা বলেন যে দেশকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আত্মনির্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে পঞ্জাব। বক🍌্তব্য রাখার সময়ই তিনি ঘোষণা করেন যে হরসীমরত মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেবেন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই বিলগুলির বিরোধিতা করেছেন। রাজ্যে কৃষকদের প্রতিবাদ চলছে এই সম্ভাব্য আইনগুলির বিপক্ষে। কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল যে অ🔯কালিরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না। এবার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে সেই অভিযোগকে ভোঁতা🦹 করার চেষ্টা করছে অকালিরা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।