হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ড সংক্রান্ত যাবতীয় অনুসন্ধানের তত্ত্বাবধান করতে এলাহাবাদ হাই কোর্টকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সমাজ আন্দোলনকর্মী সত্যম দুবের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্তের দেখভালের দায়িত্ব এলাহাবাদ হাই কোর্টের উপরে ন্যস্ত করেছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে, বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মনিয়ানকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। এর জেরে সিবিআই অনুসন্ধানের শেষে মামলাটি উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে বদলি করার পথও খোলা রইল। আবার, মনে করলে নিম্ন আদালত থেকে মামলাটি নিজের কাছে আনতে পারে হাই কোর্ট।নির্দেশের ফলে এবার থেকে তদন্তের সব রিপোর্ট হাই কোর্টেই জমা দেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিচারের শুনানিরস্থানান্তর এবং নিগৃহীতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নির্ধারণ করবে হাই কোর্টই। বর্তমানে তাঁদের ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষার বিষয়টি উত্তর প্রদেশ পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।এ দিন স্বতঃপ্রণোদিত মামলার অর্ডার শিট থেকে নিগৃহীতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম মুছে ফেলার নির্দেশও এলাহাবাদ হাইকোর্টকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিগৃহীতার পরিবারেরতরফে আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা সিবিআই তদন্তের পরে মামলাটি দিল্লিতে পাঠানোর জন্য আর্জি জানান। ইতিমধ্যে উত্তরক প্রদেশ সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে জানিয়েছেন, আদালতেরদ্বারা তদন্তের নজরদারিতে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে রাজ্য পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়, এমন কোনও নির্দেশে যাতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষতিদ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার।গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরাসে চার দুষ্কৃতীর দ্বারা ধর্ষিত ও শারীরিক নিগৃহীত হন বছর ঊনিশের দলিতকন্যা। হাসপাতালে ১৪ দিন মরণপণ লড়াইয়ের শেষে তিনি মারা গেলে চূড়ান্ত গোপনীয়তার সঙ্গে পরিবারকে দেহ দর্শনের সুযোগ না দিয়ে ভোররাতে হাথরাসে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পুলিশ। দলিত তরুণীর দেহ এত তড়িঘড়ি করে দাহ করার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার বিচার শুরু করে এলাহাবাদ হাই কোর্ট। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দীপ সিং, রবি, রামু ও লবকুশ সিকরওয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।