পাক অধিকৃত কাশ্মীরের 'কো-এডুকেশনাল' শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাধ্যতামূলক করা হল হিজাব। শিক্ষিকা এবং ছাত্রী, উভয়ের জন্যই এই কড়াকড়ি নিয়ম চালু করা হয়েছে। বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সরকার রয়েছে। পাকিস্তানে এই অধিকৃত কাশ্মীরকে 'আজাদ কাশ্মীর' বলে ডাকা হয়। তবে সেই তথাকথিত 'আজাদ কাশ্মীর'-এই ধর্মের নামে ছিনিয়ে নেওয়া হল নারীদের স্বাধীনভাবে পোশাক পরার অধিকার। এদিকে সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যদি হিজাব পরার নির্দেশিকা অমান্য করা হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে শাস্তি দেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: 'বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ', মনুস্মৃতি পুড়িয়ে তা থেক🐷ে সিগারেট ধরালেন যুবতী)
উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সরকারের প্রধান হলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সর্দার তনভীর ইলিয়াস খান। ইমরান খানের দলের এহেন নির্দেশিকার সমালোচনায় সরব হয়েছেন পাকিস্তানি সাংবাদিকদের একাংশ। পাকিস্তানের বর্ষীয়ান সাংবাদিক মরিয়ানা বাবর টুইট করে সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। তাঁর🎃 কথায়, সংশ্💞লিষ্ট পড়ুয়া বা শিক্ষিকাকে তাদের মতো পোশাক পরার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। কোনও কিছুই চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। মরিয়ানা টুইট করে লেখেন, 'কোএডুকেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের হিজাব পরা বাধ্যকামূলক করেছে সরকার। সরকারের উচিত মেয়ে এবং পুরুষদের তাদের ইচ্ছে মতো পথ বেছে নেওয়ার অধিকার দেওয়া। কারও ওপরে কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।'
আরও পড়ুন: 'ইউ♋ক্রেꦍনের পুনরাবৃত্তি ঘটছে লাদাখ-অরুণাচলে', বিলেতে বিস্ফোরক রাহুল গান্ধী
এদিকে সাংবাদিক মুর্তাজা সোলাঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সরকারের এহেন পদক্ষেপের সঙ্গে তালিবানি ফতোয়ার তুলনা টানেন। উল্লেখ্য, গতবছর তালিবান ফতোয়া জারি করে জানিয়েছিল, প্রকাশ্যে সব মহিলাদেরই হিজাব পরতে হবে আফগানিস্তানে। সোলাঙ্গি টুইটে লেখেন, 'তালিবান খানের (ই🧜মরান খান) মতে আফগান তা💞লিবান এর আগে দাশত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছিল (পশ্চিমা প্রভাব কাটিয়ে ফের কট্টরপন্থার বিস্তার ঘটিয়েছিল)। এখন তাঁর ডেপুটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সেই শৃঙ্খল ভাঙছেন (কট্টরপন্থার বিস্তার ঘটাচ্ছেন)। দাঁত বিহীন ডেন্টিস্ট (পাক রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি) এই ফ্যাসিস্টদের কর্মী হিসেবে কাজ করেন। আপনার জবাব দেওয়ার সময় এসেছে যে কীভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তালিবানি শাসন কার্যকর করা হচ্ছে।'