ইলিশ মাছ কিনার ইচ্ছা থাকলেও অর্থভাবে তা কিনে খেতে পারেন না বহু দরিদ্র মানুষ। তাদের সুবিধার্থেই বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশের রাজশাহী বাজারে কেটে ইলিশ মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে।𒁏 তবে কেটে ইলি💟শ মাছ বিক্রিতে আপত্তি জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, কেটে বিক্রি করলে তাদের লোকসান হচ্ছে। এই অবস্থায় সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রাম মাছ বিক্রি করা হচ্ছে রাজশাহীর বাজারে , যার দাম প্রায় ৪০০ টাকা। এই দামও নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ২ দশক পর দামোদর নদে ধরা পড়ল ইলিশ, নিল🌠ামে তোলা൲ হলে কত দাম পেল সেই মাছ?
এতদিন বাংলাদেশের মাছের বাজারে কেটে ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল না। সে ক্ষেত্রে গোটা ইলিশ কিনতে হচ্ছিল ক্রেতাদের। বড় ইলিশের দাম যেমন ২০০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা তেমনি ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে। ফলে গোটা ইলিশ কেনা গরিব, মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে ছিল। তাই সকলের পাতে যাতে ইলিশ পৌঁছে যেতে পারে তাই রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগরের সাহেববাজার মাছপট্টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কাটা ইলিশ বিক্রির উদ্বোধন করে। যাতে কাটা ইলিশ বিক্রির বিষয়টি সকলের চোখে পড়ে তার জন্য উদ্বোধনের ব্যানার মাছপট্টির সামনেই ঝুলিয়ে রাখা হয়। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসা🍬য়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান ও ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলি।
জানা গিয়েছে, উদ্বোধন উপলক্ষে একটি মাছ কেটে রাখা হয়। যদিও সেই মাছ বিক্রি হতে অনেক দেরি হয়। এদিন এই মাছ বাজারে ছোট ইলিশ গড়ে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এই দামে বিক্রি হয়েছে। তবে যে ইলিশ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলির ওজন ৫০০ গ্রাম বা তার কম। আর সেগুলি ৭০০ ไটাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ২৫০ গ্রাম বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকায়। কিন্তু, এভাবে মাছ বিক্রি করায় সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, মাছ কেটেই নষ্ট হচ্ছে। কেউ নিচ্ছে না। তবে অনেকের বক্তব্য, কাটা ইলিশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। সবাই কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
তবে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মাছ কেটে বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে কেউ লেজ আবার কেউ মাথা নিতে চান না। সবাই ভালো ভালো টুকরো নিতে চান। ফলে কাটা মাছ বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলি বলেন, প্রচার না হওয়ার কারণে ক্রেতা আসছেন না। তবে কোনও ক্রেতা এসে কাটা মাছ না𒊎 পেলে তাঁদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।