বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, প্রকৃতির ভয়াল ভয়ংকর রূপের সাক্ষী থাকল হিমাচল, আরও একবার। ভারি বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে শোচনীয় অবস্থা এই রাজ্যে। হিমাচল প্রদেশের অনেক জেলায় তুষারধসের কারণে মানুষের সমস্যা বেড়েছ♚ে। রাজ্যের অনেক রাস্তা অবরুদ্ধ এবং অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ও ঘটে গিয়েছে। সিমলার আবহাওয়া কেন্দ্রের মতে, কুল্লু, সিমলা, চাম্বা, 🐷মান্ডি, কিন্নর এবং লাহৌল-স্পিতি জেলা সহ রাজ্যের উপরের অংশে ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত ভারি তুষারপাত হয়েছে। এর জেরে রাজ্যজুড়ে ৫০০-রও বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, রবিবার 🐻বিকেল নাগাদ কেলং-এ ২.৫ ফুট, কাজায় ২.৫ ফুট, উদয়পুর,ꦗ টিন্ডি, সিসুতে ২ ফুট এবং অটল টানেলের দক্ষিণ পোর্টালে ৪ ফুট তুষারপাত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাহৌল-স্পিতির জাসরাত গ্রামের কাছে গত ২৪ ঘণ্টায় দারা জলপ্রপাতের ভারি তুষারপাতের পর চেনাব নদীর প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে। লাহৌল-স্পিতির পুলিশ সুপার (এসপি) মায়াঙ্ক চৌধুরী বলেছেন, জোবরাং, রাপি, জাসরাত, তারান্দ এবং থারোটের কাছাকাছি গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে এ🎃বং জরুরি পরিস্থিতিতে নিকটস্থ পুলিশ পোস্টে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের। লাহৌল মহকুমার তান্ডি সেতুতে তুষারধসে কিছু দোকান চাপা পড়ে গিয়েছে। লাহৌল-স্পিতিতে, রাশেল গ্রামের সালি নালা, জোবরাংয়ের ফলদি নালা, লোহানীর চো বীর মোড এবং উদয়পুর গ্রামের কাছে তুষারধসের আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
- কোথায় কতগুলি রাস্তা বন্ধ রয়েছে
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কিন্নর জেলার সাংলায় কারচাম হেলিপ্যাডের কাছেও তুষারধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের মতে, পাঁচটি হাইওয়ে সহ ৫০০টি রাস🅷্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সর্বাধিক ২৯০টি রাস্তা লাহৌল-স্পিতিতে, ৭৫টি কিন্নর, ৭২টি চাম্বা, ৩৫টি সিমলায়, ১৮টি কুল্লুতে🐓, ১৬টি মান্ডিতে, আর কাংরা এবং সিরমাউরে একটি করে রাস্তা বন্ধ রয়েছে৷
- আরও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে
আবহাওয়া দপ্তর হিমাচলের মধ্য෴ ও নিম্ন পর্বতে টানা দ্বিতীয় দিনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। রবিবার সিরমাউরে ৭৪.৬ মিমি, সিমলায় ৪৭.৭ মিমি, চাম্বায় ৪৬.৯ মিমি, কাংড়ায় ৪২.৯, লাহৌল স্পিটিতে ৪২.৬ মিমি এবং হামিরপুরে ৩৫.৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, রাজ্যে ৪২.২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে, যা বছরের এই সময়ের ৪ মিমি গড় থেকে ৯৫৫ শতাংশ বেশি।