যতি নরসিংহনন্দের ডাকা হিন্দু মহাপঞ্চায়েত ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। সভায় হিন্দুদের ‘অস্ত্র তুলে নেওয়ার’ বার্তা দিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন নরসিংহানন্দ। এদিকে জানা গিয়েছে, তাঁর ডাকা এই সভায় সাতজন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। জখম সাংবাদিকদের একজন মহিলা ও তিনজন মুসলিম বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সভার জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি তাদের তরফে। এমনকি দিল্লি বুরারিতে অবস্থিত সরকারি জমিতে সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদের তরফেও। তবে অনুমতি ছাড়াই এই সভা করে শুধু হিংসা ছড়ানোর উসকানি দেননি নরসিংহানন্দ, তাঁর উসকানিতে সেখানে থাকা সাত সাংবাদিককে মারাও হয়েছে।রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশ এই সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা) এবং ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের মারপিট করার অভিযোগে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। উল্লেখ্য, হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে হিংসা ছড়ানোর মামলায় জামিনে মুক্ত রয়েছেন নরসিংহানন্দ। এহেন গেরুয়াধারী ফের একবার হিংসা ছড়ানোর ডাক দিলেন খোদ রাজধানী দিল্লিতে দাঁড়িয়ে।এদিন জনসভায় নরসিংহানন্দ দাবি করেন, ‘একবার যদি দেশে কোনও মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হয়, তাহলে দেশের ৫০ শতাংশ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করা হবে। ৪০ শতাংশকে খুন করা হবে। বাকি ১০ শতাংশ হয় শরনার্থী শিবিরে থাকবেন অথবা পরবর্তী ২০ বছর অন্য দেশে থাকতে হবে। যদি এই ভবিষ্যৎকে এড়াতে চান তবে অস্ত্র তুলে নিন।’