একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ঐতিহ্যবাহী খাজা মইনুদ্দিন চিশতির আজমীর শরীফ দরগাকে হিন্দু মন্দিরের অংশ বলে🥃 দাবি করেছে। তারপরেই সংগঠনের তরফে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও বুধবার এই মামলার শুনানি হয়নি। তবে হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দাবি ওঠার পরেই দেশজুড়ে সরব হয়েছে মুসলিম সংগঠনেগুলি। তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’, আজমেঢ় শরিফে শ্রাবন্তী, শুনতে হল ধর্ম ജনিয়ে ক🎃টাক্ষ! নায়িকার সঙ্গী কে
আজমীরের একটি দেওয়ানি আদালജতে ওই সংগঠন হিন্দু সেনার তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের দাবি, ওই দরগায় আগে ভগবান শ্রী সংকটমোচন মহাদেবের মন্দির ছিল। এটি একটি শিব মন্দিরের জায়গায় তৈরি করা হয়েছে। দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর নিদর্শন রয়েছে। আছে স্বস্তিক চিহ্ন। আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে সমীক্ষা করালেই এর দাবির সত্যতা মিলবে। তাই আজমীর দরগাকে শিব মন্দির ঘোষণা করা হোক।
মঙ্গলবার হিন্দু সেনা প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার শুনানির মামলাটির শুনানির কথা ছিল। তবে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ নম্বরের আদালতের পরিবর্তে ভুলবশত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারফলে মামলাটি ১০ অক্টোবর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী পরে মামলাটি যথাযথ আদালতে স্থানান্তর করার অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনকারীর আইনজীবী শশী রঞ্জন কুমার সিং দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়েছে। আবেদনকারী দাবি করেছেন, যে সুফি মাজারটি সেখান থেকে সরানো হোক এবং বারাণসীর জ্ঞানবাপী সমীক্ষার আদলে এএসআইকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হোক। আর সেই জায়গায় একটি শিব মন্দির পুনর্নির্মাণ করা💟 হোক।
আবেদনে বলা হয়েছে, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমীরে এসেছিলেন মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে (১২-১৩ শতকে)। মহম্মদ ঘোরি পৃথ্বীরাজ চৌহানকে হত্যা করার পরে সংকটমোচন মহাদেব মন্দির সহ প্রচুর সংখ্যক মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। বই সহ বিভিন্ন প্রমাণের উদ্ধৃতি দিয়ে হিন্দু সেনা দাবি করেছে যে আজমীর মন্দির💖ের প্রধান প্রবেশদ্বারের ছাদের নকশাটি একটি হিন্দু মন্🍨দিরের কাঠামোর আদলে তৈরি।
এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মাজারে খাদিমদের সংগঠন আঞ্জুমান সৈয়দ জাদগানের সম্পাদক সৈয়দ সারওয়ার চিশতি বলেছেন, ‘এটি হল খাজা গরীব নওয়াজের পবিত্র মাজারের উপর আক্রমণ। হিন্দু 🌠ও মুসলিম উভয়ের লক্ষ লক্ষ ভক্তের অনুভূতিতে গভীর আঘাত করেছে।’
এআইএমআইএম-এর সভাপতি তথা সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন, ‘এটি কি একই মন্দির নয় যেখানে প্রতি বছর উরসের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ജমোদী চাদর পাঠাচ্ছেন? মানুষ এবং সংস্থাগুলি এই ধরনের বেকারꦜ মামলা করে সংবিধানের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।’অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের মুখপাত্র সৈয়দ কাসিম রসুল ইলিয়াস সমালোচনা করে বলেন, ‘আজমীর দরগার মর্যাদাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি আমাদের দরগা ও মসজিদকে টার্গেট করার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।’