‘কাউকে বাইরে থেকে দেখে সেই মানুষের পরিচয় পাওয়া যায় না।‘ সাত বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় দোষী যুবকের মৃত্যদণ্ডের নির্দেশ বহাল রেখে এমনই পর্যবেক্ষণ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মামলার রায়জানের সময় আদালতের তরফে বলা হয়, ‘অ্যাডলফ হিটলার প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল এবং আরও কয়েক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল সে। সেই হিটলার পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা সহ্য করতে পারত না এবং সে নিজে একজন নিরামিষাশী ছিল।’ মাদ্রাজ হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ এক নাবালিকার ধর্ষণ করে হত্যার মামলার শুনানিতে নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রেখে ২৬ বছর বয়সী যুবককে মৃত্যদণ্ডের সাজা শোনায়। এই রায় দিয়ে বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন এবং জি জয়চন্দ্রনের বেঞ্চ বলে, তাঁরা প্রাথমিক ভাবে এই সাজা কমানো উচিত কিনা তা নিয়ে ভাবছিলেন। আদালত বলে, ‘এক রায়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জীবন কেড়ে নিতে আমরা প্রাথমিকভাবে কিছুটা দ্বিধা বোধ করছিলাম। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর করার কথা ভেবেছিলাম আমরা। তবে এই মামলাটির গভীরে গিয়ে খতিয়ে দেখে এবং অ্যাডলফ হিটলারের জীবনী, কুরানের বাণী, বাইবেল, মহাভারত, সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় পড়ে আমরা উপলব্ধি করি যে এই কেসটি বিরল এবং মৃত্যুদণ্ডই এতে যতার্থ।’আদালতের তরফে বলা হয়, ‘এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে প্রত্যেকের মনে একজন মিথ্যাবাদী, একজন প্রতারক এবং একজন পাপী থাকে এবং একজন মানুষকে তার বাইরের চেহারা দিয়ে বিচার করা যায় না। যেমন অ্যাডলফ হিটলার... সে প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল এবং আরও কয়েক মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল সে। সেই হিটলার পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা সহ্য করতে পারত না এবং সে নিজে একজন নিরামিষাশী ছিল।’