ভারতের বহু জায়গাতেই প্রেম এখনও সমাজ বা পরিবারের চোখে 'শাস্তিযোগ্য অপরাধ'। সেই অপরাধই করে ফেলেছিল ১৮ বছর বয়সি শিবানী তোমর। আর তার জন্য মেয়েকে 'শাস্তি' দিল বাবা। শিবানী এবং তার প্রেমিক রাধ্যেশ্যাম তোমরকে খুন করে কুমির ভরতি নদীতে ভাসিয়ে দেয় রাজপাল সিংহ তোমর এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। জানা গিয়েছে, গত ৩ জুন থেকেই নিখোঁজ শিবানী এবং রাধেশ্যাম। শিবানী ছিল রত্নবাসাই গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে রাধেশ্যাম ছিল পাশের বালুপুরা গ্রামের🐼 বাসিন্দা।
জানা যায়, রাধেশ্যামের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে যায়। তবে শিবানী ও রাধেশ্যাম পালিয়ে গিয়েছে ভেবে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ গ্রহণ করতে চায়নি। পরে অবশ্য অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাধেশ্যামের🎀 পরিবারের সন্দেহের তির ছিল শিবানীর বাড়ির পরিবারের দিকে। সেই মতো শিবানীর বাবা রাজপাল এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেরা করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্তরা স্বীকার করে নেয় যে তারাই শিবানী ও রাধে🎶শ্যামকে খুন করেছে। তবে তাদের মৃতদেহ কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত রাজপাল জানায়, কুমির ভরতি চম্বল নদীতে দু'জনের দেহ ফেলে দিয়েছে তারা।
জেরায় শিবানীর পরিবার জানায় যে তারা প্রথম থেকেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল। তাই শিবানী ও তার প্রেমিককে খুন করে তারা। পুলিশি জেরায় রাজপাল জানায় যে নিজের মেয়ে এবং তার প্রেমিককে গুলি 🌊করে খুন করে সে। পরে চম্বল নদীতে ফেলে দেওয়া হয় দু'জনের দেহ। জেরার মুখে রাজপালের স্বীকারোক্তির পরই মৃতদেহর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। নদীতে নামানো হয়েছে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিদের। এদিকে যুগলের দেহাংশ না মিললে খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবে না পুলিশ। আদালতে এই খুনের মামলা প্রমাণ করাও খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এদিকে চম্বল নীতে কুমিরের সংখ্যা অনেক। এই আবহে শিবানী বা রাধেশ্যামের দেহের কোনও অংশ পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে। তবে দেহ না মিললে অভিযুক্তদের দোষী প্রমাণ করা যাবে না। তাই দেহের সন্ধানে জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় থানার পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়েও পৃথক তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে গাফিলতি প্রমাণ হলে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।