রমেশ বাবু
২০১৮ সাল। কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া ও তার এক বান্ধবী ইয়েমেনে থাকাকালীন তালাল আবু মেহেদি নামে এক বাসিন্দাকে উত্তেজক ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করেছিল। এরপর ইয়েমেনের আদালত নিমিশাকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেয়। এদিকে প্রাথমিকভাবে নিমিশাকে কোনওভাবে ক্ষ🍃মা করতে চায়নি মৃতের পরিবার। তারা ফাঁসির দাবিতে অনড় ছিল। তবে নিমিশাকে নিয়ে নানা লেখা ইতিমধ্যেই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতেই সম্ভবত মন ভিজেছে মৃতের পরিবারের।
এবার 'Blood money' চাইছে মৃতের পরিবার। তাহলেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে নিমিশাকে। কিন্তু কী এই ব্লাড মানি? আসলে কিছু মুসলিম অধ্যু𝓰ষিত দেশে এই বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবস্থায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দিলে তাঁরা ঘাতককে ক্ষমা করে দিতে পারেন। এদিকে মৃতের স্বামী টমি থমাস জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা একটি খুব ইতিবাচক দিক। আমাদের আশা বিদেশ দফতর এবার এনিয়ে উদ্যোগ নেবে। এদিকে সূত্রের খবর, প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইয়েমিনি রিয়াল মুদ্রা চাওয়া হয়েছে ব্লাড মানি হিসাবে। তারপরই ক্ষমা করা হবে নিমিশাকে।
এদিকে সেভ নিমিশা প্রিয়া অ্যাকশন কাউন্সিল ইতিমধ্যে💞ই নিমিশাকে বাঁচাতꦬে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কাউন্সিল সেক্রেটারি বাবু জন জানিয়েছেন, আমরা পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছি। এদিকে বহু প্রবাসী ভারতীয়ও কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এদিকে বিদেশ দফতরের পক্ষ থেকেও এনিয়ে আলোচনা জারি রাখা হয়েছে। অ্যাকশন কাউন্সিলের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ ওই নার্সের জীবন বাঁচাতে কথাবার্তা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সূত্রের খবর প্রিয়ার সাত বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। তিনি ইয়েমেনে কাজ করতেন। এদ🦩িকে মেহেদির সঙ্গে তিনি একটি নার্সিং ক্লিনিক খুলেছিলেন। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য তিনি মেহেদিকে বিয়েও করেছিলেন। কারণ নাগরিকরাই ইয়েমেনে এই ধরণের ক্লিনিক খুলতে পারে।
এ﷽দিকে মেহেদি তাকে নানাভাবে নির্যাতন করত বলে অভি🎃যোগ। এরপরই প্রিয়া এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে মেহেদির শরীরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে। এরপর দেহটি কেটে ক্লিনিকের ট্যাঙ্কে রেখে তারা পালায়। পরে দুজনেই ধরা পড়ে। প্রিয়ার বান্ধবীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। তবে প্রিয়ার দাবি তারা মেরে ফেলতে চাননি। শুধু পাসপোর্ট নিয়ে তারা পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওষুধের ওভার ডোজে মারা যান মেহেদি।