সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটের ওয়ার্মারে দগ্ধ হয়ে গেল সদ্যোজাত। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। উত্তরপ্রদেশের কৌশম্বী জেলা হাসপাতালের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে রবিবার রাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই শিশুর। পরিবারের দাবি শিশুটির বুক ও পেটের অংশটি ঝলসে যায়। শরীরের বাকি অংশগুলি একেবারে নীল হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফতেপুরের বাসিন্দা জুনিয়াদ আহমেদের স্ত্রী মাহেলকা গত ১৪ই অগস্ট শিশু সন্তানের জন্ম দেন। এরপর পরিবারের লোকজন আশায় ছিলেন কীভাবে সদ্যোজাতকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। এদিকে হাসপাতাল থেকে তাঁদের জানানো হয় শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তাকে এসএনসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে শিশুটির দেখা করতে দেয়নি। এদিকে রবিবার রাতে যখন ওই শিশুকে দেখার জন্য তার দিদিমা যান তখন তিনি দেখেন শিশুটির শরীর নীল হয়ে গিয়েছে। এরপর শিশুর অভিভাবকরা অভিযোগ তোলেন হাসপাতালের গাফিলতিতেই শিশুটির মৃ্ত্যু হয়েছে। শিশুটি দেখভালের দায়িত্ব ছিলেন যে হাসপাতালের কর্মীরা তারা মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন বলে পরিবারের অভিযোগ। এর জেরে শিশুটি ওয়ার্মারে ঝলসে গেলেও কেউ দেখতে পাননি বলে অভিযোগ। চিফ মেডিকেল সুপারিন্টেডেন্ট ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে আসেন। তাঁরা শিশুর পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। গোটা ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছেন শিশুর পরিজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।