সদ্য় জম্মু ও কাশ্মীরের বুকে এক লস্কর ই তৈবার জঙ্গি কমান্ডারের এনকাউন্টার ঘিরে ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ভূস্বর্গে। উল্লেখ্য়, সদ্য ভূসꦺ্বর্গে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনার মাঝেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্করের কমান্ডারের নিকেশ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে একটি বড় সাফল্য। এক রিপোর্টের দাবি অনুযায়ী, লস্কর ই তৈবার কমান্ডার উসমানের এনকাউন্টারে বড় ভূমিকা পালন করেছে বিস্কুট। ঠিক কীভাবে এই বিস্কুট এই গোটা অপারেশনে বড় ভূমিকা পালন করেছে, দেখা যাক।
শ্রীনগরের খনিয়ারে শনিবার গোটা দিন ধরে চলেছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। এলাকা গভীর জনবসতিপূর্ণ। এমন এলাকায় জঙ্গিকে নিশানা করে অভিযান, বেশ কিছুটা চ্যালেঞ্জে ফেলে দেয় সেনাকে। গত ২ বছরের মধ্যে শ্রীনগরে এটি সবচেয়ে বড় গুলির লড়াই ছিল। এই অপারেশনে অংশ নিয়েছে সিআরপিএফ, স্থানীয় পুলিশ। তবে এই এলাকা ধরে গিয়ে লস্কর কমান্ডার উসমানের ডেরা পর্যন্ত পৌঁছানোর মাঝে বড় বাধা হয়ে উঠছিল, পথচলতি কুুকুর। সেনার বিশাল বাহিনী দেখে এলাকার পথচলতি কুকুর ডাকলে যদি উসমান😼 সতর্ক হয়ে যায়! এমন আশঙ্কা ছিলই। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে, অভিযানের সময় ফোর্সের সঙ্গে ছিল বিস্কুট। যতই ফোর্স উসমানকে টার্গেট করে নিশানার দিকে এগোয়, ততই ধেয়ে আসা কুকুরের দলকে তারা বিস্কুট দিতে থাকে। ফলে কুকুরের ডাকের সমস্যা বন্ধ হয়।
কে লস্কর কমান্ডার উসমান?
উল্লেখ্য, কাশ্মীর উপত্যকাকে কার্যত হাতের তালুর মতো করে চিনত এই লস্কর কমান্ডার উসমান। বলছে রিপোর্ট। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার নেপথ্য় নায়ক এই উসমান। এরপর বেশ কিছু দিন পাকিস্তানে ছিল এই উসমান। পরে ২০১৬-১৭ সালে উসমান ফেরে কাশ্মীরে। গত বছর কাশ্মীরে পুলিশ ইন্সপেক্টর মসরুর ওয়ানিকে হত্যার নেপথ্যে ছিল উসমান। এদিকে, উসমান যে কাশ্মౠীরে ঢুকে গিয়েছে, তার উপস্থিতি আঁচ করে পেরে গিয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা।
কীভাবে চলল অপারেশন?
কাশ্মীরে উসমানের উপস্থি🦩তি আঁচ করেই নিখুঁতভাবে ৯ ঘণ্টা ধরে উসমানকে টার্গেট করে বিশেষ প্ল্যানিং চলে ফোর্সের। উদ্দেশ্য ছিল, সেই অভিযানে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের ক্ষতি না হয়। ৩০ টি বাড়ি ঘিরে ফোর্স নামে অভিযানে। সন্ধ্যার প্রার্থনাপর্বের আগেই এই বাড়িগুলি ঘিরে ফেলে ফোর্স। এরপরই উসমান আঁচ পেয়ে যায়। একে ৪৭, পিস্তল সহ একাধিক অস্ত্র নিয়ে উসমানও পাল্টা হামলা চালায়। এরপর গ্রেনেড, গুলি যুদ্ধ চলে। তবে শেষমেশ উসমান এনকাউন্টারে নিহত হয়। বেশ কিছু সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন।