গুজরাতের সোমনাথ থেকে অযোধ্যার প্রায় ১,৮০০ কিলোমিটার যাত্রাপথে কোনও রাজ্য আটকায়নি। রথযাত্রায় একমাত্র ধাক্কা দিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। ১৯৯০ সালের ২৩ অক্ট♊োবর সমস্তিপুর থেকে সেই সময় বিজেপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা লালকৃষ্ণ আডবানিকে গ্রেফতার করেছিলেন তৎকালীন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
গত শতাব্দীর আশির দশক এবং নব্বইয়ের দশকে রাম মন্দির রাজনীতি তুঙ্গে ওঠে। হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে টানতে আগ্রাসী প্রচার শুরু করে বিজেপি। সেই প্রচারের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন আডবানি। অযোধ্যার বিতর্কিত রাম মন্🐽দির তৈরির দাবিতে ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুজরাতের সোমনাথ থেকে রথযাত্রা শুরু করেন তিনি। আশঙ্কা মতোই রথযাত্রা ঘিরে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাতেও অবিচল🎀 থাকে বিজেপি। তখন শুধুমাত্র মধ্য ভারত দিয়ে ৩০ অক্টোবরের অযোধ্যায় পৌঁছানোর স্বপ্নে বিভোর গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা। সেই স্বপ্নে ধাক্কা দেন লালু। যিনি সদ্য বিহারের তখতে বসেছেন। সমস্তিপুরে আডবানিকে গ্রেফতার করেন তিনি।
পরে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আডবানিকে গ্রেফতারের কারণ ব্যাখ্য়া করেন ল♋ালু। বলেন, ‘শুধু দেশকে বাঁচাতে (গ্রেফতার করেছিলাম)। দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এবং ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করতে। সংরক্ষণ নিয়ে মণ্ডল কমিশনের সুপারিশের জেরে সমস্তিপুরে বিজেপির রথযাত্রা স্থগিত করতে হয়েছিল। কিন্তু আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম যে লালকৃষ্ণ আদবানিকে অযোধ্যার দিকে যেতে দেব না।’