সম্প্রতি একাধিকবার কম মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা। এই অবস্থায় মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট জানতে চাইল, তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হলে কতটা প্রস্তুত আছে দিল্লি সরকার এবং পুর কর্তৃপক্ষ।তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের সময় আমজনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, তা হলফনামা পেশ করে দিল্লির তিন পুরনিগম, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ডিডিএ) এবং নয়াদিল্লি পুরনিগমকে বিস্তারিতভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বিপিন সংঘি এবং বিচারপতি রজনীশ ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেই হলফনামা পেশ করতে হবে এবং আগামী ১৫ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি, আমজনতাকেও সেই অ্যাকশন প্ল্যানের বিষয়ে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, যাতে প্রবল কম্পনের সময় তাঁরা সুরক্ষিত থাকতে পারেন। আইনজীবী অর্পিত ভার্গব এবং ডি কে শর্মার আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। নিজেদের আবেদনে দুই আইনজীবী দাবি করেন, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি নিয়ে আদালতের একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও দিল্লি সরকার কিছু করেনি। সেজন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই পরিকল্পনা তৈরির জন্য দিল্লি সরকার এবং পুর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।রাজধানীতে ভূমিকম্প নিয়ে ২০১৫ সালেও একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন ভার্গব। দাবি করেছিলেন, দিল্লির বাড়িগুলির কম্পন সহনশীলতা অত্যন্ত কম এবং তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে অনেক প্রাণহানি হতে পারে। সেই আবেদনটি এখনও ঝুলে রয়েছে। নয়া আবেদনে ভার্গব দাবি করেছেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ১১ বার কেঁপে উঠেছে দিল্লি এবং একটি তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প আসন্ন।তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বারবার কম্পন হওয়া মানেই তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হতে চলেছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। প্রস্তুতির জন্য অবশ্য নজরদারি চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভূমিকম্পের কোনও পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।