ডিএনএ নয়, বরং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু নির্ভর করে এপিজেনোমের ওপর। শুধু তাই নয়, জীবন-যাপন প্রণালীর মাধ্যমে মানুষ নিজের এপিজেনোমে পরিবর্তন আনতে পারে। হিন্দুস্থান টাইমস লিডারশিপ সামিটে অংশগ্রহণ করে, এমনই অভিমত প্রকাশ করেছেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের পল এফ গ্লেন সেন্টার ফর দ্য বায়োলজি অফ এজিং রিসার্চ-এর 🃏কো-ডিরেক্টর ও জেনেটিক্সের অধ্যাপক ড. ডেভিড অ্যান্ড্রু সিনক্লেয়ার।
সামিটে হিন্দুস্থান টাইমসের হেল্থ এডিটর সঞ্চিতা শর্মার সঙ্গে কথোপকথনে তিনি ডায়েটারি ও জীবন-যাপন প্রণালীতে এমন কিছু সামান্য পরিবর্তনের🌟 কথা বলেছেন, যা বার্ধক্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুও লাভ সম্ভব হবে।
ড. সিনক্লেয়ারের মতে, প্রতিদিন নিয়মতি তিনবেলার খাবার দীর্ঘায়ু প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোৎকৃষ্ট ফলাফল দেয় না। তার পরামর্শ, ‘দিনে একবেলা খাবার খাওয়ার অভ্যেস বাতিল করুন।' তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ꦓএকবেলার খাবার খাই না। তবে এর পরিবর্তে স্ন্যাক জাতীয় কিছু না-খেয়ে, চা বা কফি পান করে থাকি।’
তবে কম বয়সিরা যাতে এমন না-করেন, সে বিষয়েও সাবধান করেছেন তিনি। বরং মধ্যবয়সী ও বয়স্করা একবেলার খাবার সহজেই এড়িয়ে যেতে পারেন। তবে প্রাতঃরাশ বাতিল না-করার ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন ড. সিনক্লেয়ার। তার পরিবর্তে ব্যক্তি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী মধ্যাহ্ন ভোজন বা নৈশাহার বাতিল করতে পারেন। যে সমস্ত মধ্যবয়সী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিপাক প্রক্রিয়া সামান্য ধীরগতির, তাঁদের এমন করা উচিত। তไবে একবেলার খাবার বাতিলের মাধ্যমে তিনি যে কোনও মতেই অনাহারে থাকার পন্থা প্রচার করছেন না, সে বিষয়েও স্পষ্ট জানিয়েছেন ড. সিনক্লেয়ার।
তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তি যখন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ক্ষুধার্ত থাকে, তখন দীর্ঘায়ু বর্ধক 🎉বিষয়গুলি সক্রিয় হয়। তাঁর মতে, ‘আমরা যদি সারাদিন বসে থেকে শুধু মাত্র খাওয়া-দাওয়া করে যাই ও এর ফলে ক্ষুধার্ত বোধ না-করি, তা হলে আমাদের শরীর স্বস্তিতে ও আরামে থাকবে। তখন তা ধীরে ধীরে বার্ধ্যক্যের সঙ্গে লড়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলবে।’
এর পাশাপাশি, বার্ধক্যের বি🃏রু𒊎দ্ধে শরীর কী ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি। তাঁর পরামর্শ:
- নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
- এ ক্ষেত্রে নিতম্ব মজবুত রাখার এক্সারসাইজের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ওয়েট-লিফ্টিংও করতে হবে।
- বায়োমার্কার ফিডব্যাকের ওপর জোর দিয়েছেন সিনক্লেয়ার। স্বাস্থ্য স্তর নিরীক্ষণ ও নিজের ভাইটালস নজরে রাখার কথা বলেছেন তিনি। এমনকি প্রাত্যহিক জীবনে শারীরিক কার্যক্ষমতার বিষয়েও নজর রাখতে হবে।
- নিশ্চিন্তে ঘুমানো ও চাপমুক্ত থাকার কথাও বলেছেন সিনক্লেয়ার।
- তিনি নিয়মিত শাক-সবজি খাওয়ার কথা বলেছেন। জোর দিয়েছেন পেশাই করা খাদ্য-পানীয়ের ওপর। উদাহরণ হিসেবে আঙুর পিষে তৈরি ওয়াইন খাদ্যতালিকায় তিনি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
টাইমস ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ জন সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনিꦍ অন্যতম। ম্যাগাজিনের কভার আলো করেছিলেন ড: সিনক্লেয়ার। সিনক্লেয়ার ছাড়া, এইচটিএলএস ২০২০-র ষষ্ঠ দিনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং YOONX নেট-এ-পোর্টার গ্রুপের ফেদেরিকো মার্কেট্টি।