চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল আগেই, রতন টাটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আর ক্রিপ্টোকারেন্সির কালোবাজারির সাথে যোগসূত্র পাচ্ছিলেন না অনেকেই। এবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন স্বয়ং রতন টাটা। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান টুইটার🎶ে স্প𒐪ষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর সাথে কোনও ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সির সম্পর্ক নেই।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি নেটিজ🐲েনদের অনুগ্রহ করে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি। কোনও ধরনের ক্রিপ্💛টোকারেন্সির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ এই বিষয়ে ৮৫ বছর বয়সী শিল্পপতি জানান, কোনও প্রতিবেদন বা বিজ্ঞাপনে তাঁর সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির যোগের কথা উল্লেখ থাকলে বুঝে নেবেন , সেগুলি সম্পূর্ণ অসত্য। দেশের নাগরিকদের প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে ওইগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। টুইটরে পোস্টটি আমজনতাকেও আশ্বস্ত করেছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘স্যার আমরা আপনার সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানি, তাই আমরা কখনই এই ধরণের বিজ্ঞাপন এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে বিশ্বাস করিনি।’
আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘ক্রিপ্টো ক💛ারেন্সি সম্পর্কে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং প্রত্যেককে এই ধরনের স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এখনই সতর্ক হওয়ার সময়।’ এর আগে শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রাও ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের বিষয়ে মিথ্যা খবরের নিন্দা করেছিলেন। তিনি টুইটারে বলেছিলেন, ‘আমি ক্রিপ্টোতে এক টাকা꧙ও বিনিয়োগ করিনি।’
প্রসঙ্গত ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনও কাগুজে মুদ্রা নয়, কোনও ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাতেও এর অস্তিত্ব নেই। ক্রিপ্টো কারেন্সি সাধারণত কেন্দ্রীভূত ডিজিটাল মুদ্রা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বিপরীতে এক ধরনের বিকেন্দ্রীভূত লেনদেনের মাধ্যম, যেখানে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই দুই ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারেন। ফলে থেকꦦে যায় কালোবাজারির আশঙ্কা, বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব।
গত বছর উদ্যোগপতি ওয়ারেন বাফেট বলেছিলেন, ক্রিপ্টো কারেন্সি কোনও উৎপাদনশীল সম্পদ নয়, এতে বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টো কারেন্সির চল ক্রমবর্ধমান। আর পাঁচটা সাধারণ বিনিয়োগের মতো কাজ করে না এই কারেন্সি। ভারতে বহু বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যেই এই ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করেছেন। যদিও বার বার এই ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে সতর্ক করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কেন্♛দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের কারেন্সিতে বিনিয়োগ ইনভেস্টারদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ক্রিপ্টোর বাজার ধরতেই রতন টাটার মতো বিশ্বস্ত নাম ক্রিপ্টোর সঙ্গে জুড়ে সম্প্রচার করা হচ্ছে ফেক নিউজ। রতন টাটা এ নিয়ে সরব হওয়ায় আরেকবার নেটনাগরিকদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল ক্রিপ্টো কারেন্সি, অবশ্য সচেতনও হলেন অনেকে।