'আমি অপমান সহ্য করব না।' রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। টানা ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পরে বুধবার মধ্যরাতে সংশোধিত ൲ওয়াকফ বিল পাশ হয়েছে লোকসভায়।তার আগে এই বিল নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে। তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্⛦লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, 'কংগ্রেসের নেতারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নামে রাজনীতি করছেন, কিন্তু আমি কখনও ঝুঁকব না।' তিনি অভিযোগ করেছেন, কর্ণাটকের ওয়াকফ সম্পত্তি কেলেঙ্কারিতেও মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে এসেছে। এই মন্তব্যের পরই কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেণুগোপাল-সহ বিরোধী সদস্যরা তীব্র আপত্তি জানান। তারা দাবি করেন, এটি ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সংসদের মর্যাদার বিরুদ্ধে। স্পিকার ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করে বলেন, 'আমরা এই মন্তব্য স্পঞ্জ করেছি।'
আরও প♍ড়ুন🏅-Waqf Amendment Bill: রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে DMK
এই আবহে বৃহস্পতিবার রাজ্যস𒐪ভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'অনুরাগ ঠাকু✅র আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি যদি তাঁর কথা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। আর যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় আমি পদত্যাগ করব। কিন্তু আমি এই ধরনের অপমান সহ্য করব না।' মল্লিকার্জুন আরও বলেন, 'বিজেপি ওয়াকফ বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে, আর আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরাতে চাইছে। বিজেপির লোকেরা ভয় দেখিয়ে আমাকে মাথা নত করাতে চায়, কিন্তু আমি কখনও মাথা নত করব না। আমি ভেঙে পড়ব, কিন্তু মাথা নত করব না।' মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তৃতার পরপরই বিরোধী সদস্যরা সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন।
আরও পড়ুন-Waqf Amendment Bill: রাজ্যসভায় পেশ ওয়🐼া🐈কফ বিল, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে DMK
কংগ্রেস নেতারা খাড়গের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। কেসি ভেণুগোপাল বলেন, 'অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য সংসদের নিয়মের বিরুদ্ধে। আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি করছি।' অন্যদিকে বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, ঠাকুরের বক্তব্য বিলের সমর্থনে ছিল এবং বিরোধীরা এটিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে ভুল বোঝাচ্ছে। তবে,অনুরাগ ঠাকুরের 'আমি কখনও ঝুঁকব না' মন্তব্য এবং খাড়গের পাল্টা জবাব 🥀ভারতের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে খাড়গের পক্ষে সমর্থন জানালেও, কেউ কেউ অনুরাগ ঠাকুরের অবস্থানকে ‘সাহসী’ বলে প্রশংসা করেছেন।