সপ্তাহব্যাপী উদ্বেগের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে উহান থেকে দেশে ফিরলেন ১১২ জন ভারতীয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁদের নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছল বায়ুসেনার সি১৭ গ্লোবমাস্টার-৩ বিমান।এ দিন ভারতীয়দের সঙ্গেই দিল্লিতে ফিরেছেন করোনাভাইরাসের আতুরঘর উহান থেকে বেশ কয়েক জন বিদেশি নাগরিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া। এ ছাড়া রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, মায়ানমার, মলদ্বীপ, আমেরিকা ও চিনের নাগরিকরা।এ দিন চিনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিসরি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘এই বিমানে দেশে ফিরছেন ৭৬ জন ভারতীয় নাগরিক। বিমানে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ৬ জন চিনা, মায়ানমার ও মলদ্বীপের ২ জন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা ও মাদাগাস্কারের একজন করে নাগরিক।’ বুধবার রাতে কয়েক জন যাত্রীর জ্বর থাকায় তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি যাচাই করতে একাধিক বার পরীক্ষার জেরে কিছুটা বিলম্বিত হয় উড়ান। ভারতে পৌঁছনোর পরে প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের বিচ্ছিন্নবাস বা কোয়ারেন্টাইন পর্ব সম্পূর্ণ করতে হবে।চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি উড়ানে ৬৪৭ জন ভারতীয় এবং সাত জন মলদ্বীপের নাগরিককে চিন থেকে উদ্ধার করেছে ভারত সরকার।এ দিন যে বিমানটি আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে উহান পৌঁছেছিল, করোনাভাইরাস (covid-19) সংক্রমণের মোকাবিলায় তাতে ১৫ টন ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। মারণভাইরাসে এ পর্যন্ত চিনে মারা গিয়েছেন মোট ২,৭১৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮,১৯৬ জন।covid-19 সংক্রমণ মহামারীর রূপ নিলে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাহায্য ও সৌভ্রাতৃত্বের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘চিনের এই দুঃসময়ে সৌভ্রাতৃত্ব জানাচ্ছে ভারত। সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় উপহার হিসেবে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে, যা সংক্রমণ রুখতে চিন সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে।’