মাসখানেক আগে এক গ্যাংস্টারের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন গুজরাটের একজন আইএএস অফিসারের 🍰স্ত্রী। গত শনিবার আবার তিনি ফিরে এসেছিলেন স্বামীর বাড়িতে। তবে সেখানে তাকে ঢুকতে না দেওয়ায় বিষ খেয়ে আত🔜্মঘাতী হলেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের গান্ধীনগরের সেক্টর ১৯-এ। ৪৫ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম সূর্য জে।
আরও পড়ুন: ‘আমি মরে গেജলে যেন মাকে জানানো হয়’�� হোটেল থেকে উদ্ধার IT বিশেষজ্ঞের দেহ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আইএএস অফিসারের নাম হল রঞ্জিত কুমার। তিনি গুজরাট ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনের সচিব। তাঁর স্ত্রী ওই গ্যাংস্টারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এরপর ৯ মাস আগে তিনি ওই গ্যাংস্টারের সঙ্গে পালিয়ে যান। এদিকে, সম্প্রতি এক কিশোরকে অপহরণের মামলায় নাম জড়িয়ে পড়ে সূর্যের। অভিযোগ ওঠে, আর্থিক বিবাদের জেরে গত ১১ জুলাই ১৪ বছরের ওই কিশোরকে মাদুরাই থেকে অপহরণ করা হয়। তারপর কিশোরের পরিবারের কাছ থেকে♑ ২ কোটি টাকার মুক্তিপণ দাবি করা করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানতে পারে, এই অপহরণের সঙ্গে সূর্য জড়িত ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অবশেষে কিশোরকে উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে আইএএস অফিসারের অনুমান, অপহরণের অভিযোꦰগ থেকে বাঁচতেই আবার সূর্য তাঁর কাছে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে আইএস অফিসার তাঁর সরকারি ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন যেহেতু তাঁর স্ত্রী অপহরণে মামলায় জড়িত তাই তাঁকে যেন কোনওভাবে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া হয়। এরপর শনিবার রঞ্জিত কুমারের আবাসনে ঢোকার চেষ্টা করেন সূর্য। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বাধা দেন। তখন তিনি বিষ পান করেন এবং ১০৮ নম্বরে অ্যাম্বুলেন্স হেল্পলাইনে ফোন করেন। পরে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে গান্ধীনগর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে সেখানেই রব𒅌িবার তার মৃত্যু হয়।
আইএএস অফিসারের আইনজীবীর মতে, ওই দম্পতি ২০২৩ সাল থেকে আল𒀰াদা থাকছিলেন। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। মহিলার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে তিনি দাবি করেছেন, গ্যাংস্টারের প্রেমের ফাঁদে তিনি আটকে পড়েছিলেন। তারপর দুটি ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেখানে প্রধান অভিযুক্ত ছিল ওই গ্যাংস্টার। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তার স্বামী একজন মহৎ ব্যক্তি। তিনি যেন তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করেন এবং তার অবর্তমানে যত্ন নেন। যদিও মহিলার মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন আইএএস অফিসার।