একদিকে, আমেদাবাদের বিখ্যাত সিদ্দি সইদ মসজিদে যে জালির কাজ রয়েছে তার কারুকার্যের অনুকরণ রয়েছে, অন্য়দিকে রয়েছ💮ে সংস্কৃত লাইন 'বিদ্যা বিনিয়োগত বিকাশ'। এই দুইয়ের সম্মেলনে তৈরি হয়েছে আইআইএম আমেদাবাদের ঐতিহাসিক 'লোগো'। যে লোগো পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে কার্যত দিনে দিনে চড়ছে বিতর্কের পারদ। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানী তথা শিক্ষাবিদ বিক্রম সারাভাইয়ের সময়ের এই ঐতিহাসিক লোগো এই মুহূর্তে বিতর্কে। শোনা যায়🍎, লোগোটি তৈরির সময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এই প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর।
মূলত, আইআ🐷ইএম আমেদাবাদের এই চেনা লোগোকে পরিবর্তনের প্রস্তাব আসে কর্তৃপক্ষের তরফে। যার বিরোধিতা করেন একাংশের অধ্যাপকরা। এরপর শুক্রবার আইআইএম আমেদাবাদ জানিয়েছে, নতুন যে লোগোটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য স্থির করা হয়েছে, তা আগের লোগোটির ভাবনাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, দুটি লোগো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। তার মধ্যে থেকে একটি বিশ্ব আঙিনায় ব্যবহার করা হবে, অন্যটিকে বেছে নেওয়া হবে দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহারের জন্য। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, লোগোতে লেখা সংস্কৃত লাইনটি বদলানো হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, আইআইএমের ৪৫ জন অধ্যাপক এই লোগো পরিবর্তন নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অফ গভর্নরসে এই ইস্যুতে চিঠি পাঠিয়েছেন। এদিকে, জানা গিয়েছে, এই বছর জুন মাসে ওই লোগো প্রকাশ্যে আনবে কর্তৃপক্ষ। এদিকে প্রতিষ্ঠানের কমিউনিকেশন টিম জানিয়েছে, আগের লোগোটির থেকে এই নয়া লোগোতে রঙের ব্যবহার অনেক সুন্দর হয়েছে, এছাড়াও জালি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যে কারুকার্য রয়েছে, তাও আগের থেকে অনেকটাই সুন্দর।
উল্লেখ্য়, ওই প্রতিষ্ঠানের এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হিয়কজিন কক এই লোগোর বিষয়ে অধ্যাপক মণ্ডলীর সামনে একটি প্রেজেন্টেশন দেন। সেখানে তিনি বলেন বিশ্ব আঙিনায় আমেদাবাদ আইআইএম এর যে লোগোটি ব্যবহার করা হবে, তাতে থাকবে না সংস্কৃত লাইনটি। আর দেশের অভ্যন্তরে যে লোগো ব্যবহার করা হবে, তাতে ওই লাইন থাকবে। উল্লেখ্য, যে লোগো পরিবর্তনের কথা উঠেছে তা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। সেই সময় ১৫৭৩ সালের তৈরি সিদ্দি সইদ মসজিদের জালির কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লোগো তৈরি হয়েছিল। 'মোটিফ' হিসাবে উঠে এসেছিল 'ট্রি অফ লাইফ'। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরনো লোগোতে যে গাছটি ছিল, তার থেকে নতুন লোগোর গাছটি অনেক বেশি উজ্জ্বল। তবে প্রতিবাদীরা বলছেন, 'যা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব, তাকেই কেন ফেরানো হচ্ছে না?' প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনী ও বিশিষ্ট লেখিকা লক্ষ্মী বনসল বলছেন, 'মনে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান বড়স🀅ড় বিপদের মুখে পড়ছে।' আর আইআইএম কর্তৃপক্ষ তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, 'ইনস্টিটিউট, তার ওয়েবসাইট পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্যে, লোগোটি রিফ্রেশ করার প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পেয়েছে।'