ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ করে চলেছেন। সম্প্রতি তিনি ‘স্বাধীনতা মিছিল’ও বের করেছিলেন। তবে তাঁর সেই মিছিল সহিংসতার কারণে মাঝপথে বন্ধ করা হয়েছিল। এই আবহে অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ভাবে এবং অস্বাভাবিক পদক্ষেপে, ইমরান খানের নেতৃত্বে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাঁর নিজের দেশের সরকারের বিরুদ্ধেই বুধবার রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানাল।‘স্বাধীনতা মিছিল’ চলাকালীন সহিংসতার ঘটনায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ একটি স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য চেয়েছে এবং বলেছে যে গত সপ্তাহে সরকারের একটি বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে। সিনিয়র পিটিআই নেতা এবং ইমরান খানের সরকারের সময়কালে মানবাধিকার মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো শিরিন মাজারি এই আবেদন জানান রাষ্ট্রসংঘে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে একটি চিঠিতে এই অভিযোগ করেছেন শিরিন। তাঁর দাবি, সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করেছে এবং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাও শুরু করেছে।পাকিস্তানে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করার দাবিতে ২৫ মে ইসলামাবাদে ইমরান খানের সমর্থকরা সহিংসভাবে বিক্ষোভ করে। এর পরে পিটিআইয়ের তরফে এই চিঠি পাঠানো হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে। এর আগে পিটিআইয়ের মিছিল চলাকালীন তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয়েছিল এবং লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল। মাজারি রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তাকে এই বিষয়টি জানান। অবিলম্বে এই ‘মানবাধিকার বিষয়ক’ ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন পিটিআই নেত্রী। তিনি অভিযোগ করেছেন যে সরকার কেবল পাকিস্তানে গণতন্ত্রকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলেনি বরং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খান এবং তাঁর দলের নেতৃত্বের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।