তোশাখানা মামলায় জামিন পেলেও গোপন তথ্য ফাঁস করার মামলায় ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিল আদালত। আর তাই জেল থেকে আর মুক্তি পাননি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে জেলে নিজের ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। এই আবহে আদালতের তরফে ইমরানকে তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚছে আদালত। উল্লেখ্য, আপাতত অ্যাটক জেলে বন্দি আছেন ইমরান।
তোশাখানা মামলায় কয়েক সপ্তাহ আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধাবনমন্ত🎐্রী তথা পিটিআই প্রধান ইমরান খান। তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল ইসলমাবাদের এক বিশেষ আদালত। তবে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট আজ সেই রায়কে খারিজ করে দিয়েছিল সম্প্রতি। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিদেশি সরকার থেকে পাওয়া উপহার তিনি বিক্রি করেছেন ব্যক্তিগত স্বর্থে। এদিকে নির্বাচন কমিশনকে ভুল তথ্য দেওয়ার দায়ে ইতিমধ্যেই পাঁচবছরের জন্য পাক রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হয়েছেন ইমরান খান। সঙ্গে একাধিক দুর্নীতি মামলার খাড়া ঝুলছে তাঁর মাꦡথার ওপরে।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা উপহারের বিবরণ গোপন করেছ♔িলেন ইমরান খান। সেই অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিল সেদেশের নির্বাচন কমিশন। এর আগে এক ব্যবসায়ী দাবি করেছিলেন, ২০ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে ইরমান খানের থেকে একটি ঘড়ি কিনেছিলেন তিনি। দাবি করা হয়, সেই ঘড়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৯ সালে সৌদি শাসক মহম্মদ বিন সলমনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ইমরান। এরপর অভিযোগ ওঠে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিদেশ সফরে গিয়ে যেসব উপহার ইমরান পেয়েছেন, তার অনেকগুলোই তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কোনও উপহার পেলে, সেই জিনিসটার দাম তোশাখানায় মিটিয়ে দিয়ে তা নিতে পারতেন ইমরান খান। তবে তা তিনি করেননি বলেই অভিযোগ। এদিকে এই অভিযোগ খারিজের দাবিতে গত অক্টোবরেই ইসলামাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান খান। তবে তখন তাঁর আবেদন খারিজ করেছিল ইসলামাবাদ উচ্চ আদালত। এরপর ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত ইমরানকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান খান। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ আদালতের রায় খারিজ করে দেয় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তবে তাতেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের প্রধান। তবে এবার নিজের ছেলের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পেলেন ইমরান।