দিল্লি দাঙ্গার সময় হিংসা 𝕴এবং অবৈধ জমায়েতে যুক্ত এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিল দিল্লির এক দায়রা আদালত। দিল্লি হিংসা মামলাগুলির মধ্যে এটি প্রথম রায় ছিল। এবং এই মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ দায়সারা ভাবে তদন্ত করেছে বলে আদালতের ভর্ৎসনাও শুনতে হয়েছে তাদের। আদালত জানায়, অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার জন্যে ন𝓡্যূনতম যেই প্রমাণ লাগে, তার ধারের কাছেও জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ।
অতিরিক্ত দায়রা জজ অমিতাভ রাওয়াত এদিন মামলার রায় দেওয়ার সময় বলয় যꩵে মামলাকারী নিজেদের মামলা খাড় করতে অক্ষম হয়েছে। সাক্ষীদের বয়ান পর্যন্ত মেলেনি। এর জন্য সুরেশ ওরফে ভতুরাকে বেকসুর খালাশ করে আদালত। পাশাপাশি এই অপরাধের সঙ্গে তাকে কোনও ভাবে যুক্ত করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন বিচারক।
বিচারক বলেন, 'বড় বড় সাক্ষীরা সব এমন বয়ান দিয়েছে যা একে অপরের থেকে আলাদা। এর থেকেই প্রমাণিত যে চার্জশিটে যেভাবে অপরাধের বর্ণনা দেওয়া আছে, ঘটনা সেভাব🔴ে ঘটেনি। ১৫-২০ জনের জমায়েত বা বাবরপুর রোডের ২৭/৫ নম্বর দোকানে ভাঙচুরের সঙ্গে অভিযুকඣ্তকে যোগ করার কোনও বয়ানই সামনে আসেনি।'
অভিযোগকারী অসিফের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুরেশকে ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আসিফের অভিযোগ, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সে হঠাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের দাপিয়ে বেরাতে শোনে। আসিফ অভিযোগ করেন যে তিনি মুসলিম বলে তার দোকানের উপর হামলা চালানোর প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছিল। আসিফের দাবি, সে সেই জমায়েতকে বোঝাতে চেয়েও পারেননি। এদিকে সেই দোকানটি আসিফ ভআড়া নিয়েছিলেন ভগত সিং নামক এক ব্যক্তির থেকে। দাঙ্গার দিন ভগত সিং থানা থেকে পুলিশ ডেকে নিয়ে এলেই দাঙ্গাবাজরা পালা। তবে সেই ভগত সিং সুরেশকে চিনতে পারেননি। যেই পুলিশ কনস্টꦚেবল দাঙ্গার দিন ভগতের সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসেছিল, তাঁর বয়ানের প্রেক্ষিতেই সুরেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তবে কনস্টেবলের বয়ানকে বিশ্বাসযোগ বলে মানতে চায়নি আদালত।