দেশের মাটিতে বཧহুদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র তৈরিতে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। ভারতের বহু প্রাইভেট সেক্টর সংস্থা এই সামরিক অস্ত্র তৈরিতে অংশ নিয়েছে। এবার সেনায় ব্যবহৃত মিলিটারি ড্রোন নির্মাণ নিয়ে দেশের প্রাইভেট সেক্টর সংস্থাগুলিকে নিয়ে কড়া বন্দোবস্ত করছে ভারতীয় সেনা। সেনার ব্যবহৃত মিলিটারি ড্রোনে যাতে একটিও চিনা সামগ্রী ব্যবহার না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্মা🍃তা সংস্থাগুলিকে ঘিরে নয়া ব্যবস্থাপনা চালু করছে সেনা। ড্রোন নির্মাতাদের, তাদের পণ্যের কার্যকারিতা দেখাতে লাদাখের উচ্চ পার্তব্য অংশে পণ্য প্রদর্শন করতেও ডেকেছিল সেনা। সেঘটনা গতমাসের।
ভারতের সেনার জন্য তৈরি ড্রোনে যাতে চিনা উপাদান ও ইলেকট্রনিকের কোনও অংশ না থাকে, তা নিশ্ಌচিত করতে উপযুক্ত পন্থার সাহায্য নিচ্ছে ভারতীয় স𒊎েনা। প্রযুক্তিগত একটি মাপদণ্ড এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনার এই লক্ষ্য পূরণে নানান পন্থা অবলম্ব করা হচ্ছে। যাতে কোনও মতেই ভারতের সেনার ব্যবহৃত ড্রোনে চিনা সামগ্রী ঢুকে না যায়, তার জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। সেনার ডিজাইন ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল সিএস মান একথা জানিয়েছেন। সদ্য, ২০০ মিডিয়াম অলটিটিউড লজিস্টিক ড্রোনের একটি ‘অর্ডার’ স্থগিত করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর সেই ড্রোনের নির্মাতাদের প্রমাণ করতে বলা হয়েছে, যে, ড্রোনগুলিতে কোনও চিনা সামগ্রী নেই। এই ড্রোনগুলি চিনের সীমান্তে মোতায়েন করা হবে, বলে স্থির ছিল। তবে তার অর্ডার আপাতত স্থগিত। এরপরই নড়েচড়ে বসে সেনা। তারপরই যে সমস্ত দেশের সংস্থা মিলিটারি ড্রোন নির্মাণ করছে, তাদেরল ওই ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় সেনা।
এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রক,প্রতিরক্ষা উৎꦛপাদন সম্পর্কিত দফতরও এই ইস্যুতে পদক্ষেপ করেছে। FICCI, CII, ASSOCHAMকে তারা সতর্ক করেছে তাদের সদস্য সংস্থাগুলি যাতে ড্রোন নির্মাণের ক্ষেত্রে চিনা সামগ্রী ব্যহার না করে।
চিনের সঙ্গে ভারতের লাদাক সংঘাতের ৫ বছরের বার্ষিকী হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই লাদাখ সংঘাত ঘিরে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে বেশ কিছুটা শীতলতা দেখা ജগিয়েছে। এদিকে, চিন সীমান্তে নানান ধরনের ড্রোন মোতায়েন করার বন্দোবস্ত করছে ভারতীয় সেনা। এই ড্রোনগুলির মধ্যে, ন্যানো, মিনি থেকে ইউএভি পর্যন্ত মোতায়েনের কথা রয়েছে।