ডাঃ সৌম্য স্বামীনাথন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী। এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যান্য জ্বর, সর্দি কাশির সঙ্গে কোভিডকে গুলিয়ে ফেলবেন না। এ🧸তে বিরাট অসুস্থ হয়ে পড়বেন এমনটা ঠিক নয়। এর মাধ্যমে আপনার দীর্ঘকালীন কিছু সমস্যা হতে পারে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে, স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে কোভিড।
ন্যাশানাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের কোভিড টাস্ক ফোর্🎃সের চেয়ারম্যান ডাঃ রাজীব জয়াদেবনের সঙ্গেও কথা বলেছিল এনডিটিভি। তাঁর মতে, বেশির ভাগ রোগীরই ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যা রয়েছে। কিন্তু পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁদের কোভিড হয়েছে। কোচিতে গত ২৪ ঘণ্টায় এসব দেখা গিয়েছে।
তবে উভয় বিশেষজ্ঞই জানিয়েছেন এই ধরনের কোভিড আগের থেকেও বেশি সংক্রামক। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কম। তার একটা বড় কারণ হল ভারতে ব্যপকহারে টিকাকরণ করা হয়েছে। ডাঃ স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ভারত একের পর এক ঝুঁকির পরিস্থিতি পেরিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে এবারও পরিস্থতি মোকাবিলার ক্🅠ষেত্রে সমস্যা কিছু হবে 🎃না। মূলত বয়স্ক মানুষ ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া ও মাস্ক পরার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের মত।
সরকারি তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ২১জনের শরীরে জ꧟েꦓএন১ প্রজাতির ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে গোয়াতে ১৯জনের শরীরে ও মহারাষ্ট্রে ও কেরালাতে।
তবে আশার কথা ডাঃ জয়াবেদন জানিয়েছেন, এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে। কিন্তু বাড়িতেই এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু এটা কি কমিউ☂নিটিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, আমার প্রতিবেশী গত কালই পজিটিভ বলে চিহ্নিত হয়েছেন। এটা সর্বত্র রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সেরকম একট📖া দরকার নেই।
ডাঃ স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এটা ওমিক্রনের মতোই। কিন্তু স্বল্পমাত্রার। যারা আগে সংক্রামিত হয়েছেন তারাও ফের সংক্রামিত হতে পারেন। দেখবেন আগামী দিনে আরও সংক্রমণের কথা শোনা যাবে। এই রোগের লক্ষণ হল, জ্বর, কাশি, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া। শ্বাসকষ্টও 🥀হতে পারে।
কিন্তু এবার প্রশ্ন মাস্ক পরতে হবে কি?
ডাঃ জয়াদেবন জানিয়☂েছেন, বদ্ধ জায়গা, লোকজন ভর্তি জায়গায় বায়ু 𓃲চলাচল যেখানে কম সেখানে মাস্ক পরাটা নিরাপদ। যে গাড়িতে অনেকে মিলে যাচ্ছেন সেখানে মাস্ক পরতে পারেন। বদ্ধ জায়গায় অনেক মানুষ যেখানে রয়েছেন সেখানে মাস্ক পরতে পারেন বিশেষত বয়স্ক ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। একটু সাবধানে থাকতে হবে।