ভারতের সঙ্গে কয়েক মাস আগে পর্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল বাংলাদেশের। তবে শেখ হাসিনা সেই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই ক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বরং সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে মাঝে মাঝেই আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানকার সংখ্যালঘু, হিন্দু, বৌদ্ধরা। তবে সেই স সমস্যা না মিটিয়ে মহম্মদ ইউনুসের সরকার এখন ব্যস্ত বাংলাদেশের ইতিহাস মুছতে। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে সরকারি ভাবে। আওয়ামি লিগকেও ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চায় বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা। আর তাই এবার হাসিনা জমানায় ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যাবতীয় চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানাল ছাত্রনেতারা। (আরও পড়ুন: বক্তৃতায় বিস্ফোরক শেখ হাসিনা, ইউনুসের নাম করে মারাত্👍মক দাবি তাঁর)
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথে এবার ভেঙেই যাবে ইন্ডি🐈য়া? অখিলেশেব ভাবগতিকে জল্পনা
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমাসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি, সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন ও সদস্য সারজিস আলম। এছাড়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বৈঠকে ছিলেন। (আরও পড়ুন: 💜'ধর্মীয় অপরাধের শাস্তি' পালনের সময় স্বর্ণমন্দিরে সুখবীর সিং বাদলের ওপরে চলল গুলি)
সেই বৈঠকের পরই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত জানান, বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক🅠, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মতো ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয় সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে। এছাড়াও জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়েও নাকি আলোচনা হয়। হাসনাত বলꦆেন, 'আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, ভারত সরকারের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের যেসব গোপন চুক্তি হয়েছিল, সেগুলো যেন প্রকাশ করা হয়। ফেলানি হত্যাসহ সীমান্তে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেগুলোর যেন বিচার নিশ্চিত করা হয় এবং জলের ন্যায্য হিস্যা যেন বাস্তবায়ন করা হয়।'