লাদাখকে কেন্দ্র করে ভারত ও চিন দুই দেশের মধ্যেই সংঘাতের আবহ চড়তে থাকে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন সমীকরণ তুলে ধরে লাদাখ। লাদাখে চিনের আগ্রাসনই শেষ নয়, সদ্য ২০২২ সালে অরুণাচল প্রদেশে চিনের সেনার আগ্রাসনও বেশ প্রাসঙ্গিক। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, চিনের সঙ্গে ভারতের সং൩ঘাত আরও জোরালো হতে চলেছে আসন্ন সময়ে। এই তথ্যের নেপথ্যে একাধিক কারণও তুলে ধরেছে সংবাদ সংস্থাটি।
রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাদাখ সীমান্ত সংলগ্ন চিনে একধিক পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যস্ত চিন। সেখানে পর পর নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছে বেজিং। উল্লেখ্য, লাদাখ পুলিশের তরফে একটি তথ্য সদ্য এক কনফারেন্সে পেশ করা হয়েছে। আর তার সূত্র ধরেই এইন খবর রয়টার্স তুলে ধরেছে। জানুয়ারি মাসের ২০-২২ তারিখে আয়োজিত এই কনফারেন্স ঘিরে উঠে আসে এই সমস্ত গোপন তথ্য। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গালওয়ান যুদ্ধের সময় থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে মিশে যায়। সেই সময় গালওয়ানে অতর্কিতে হামলা করে চিনের সেনা। পাল্টা মোক্ষম জবাব দেয় ভারত। দেশের বহ🅷ু সেনা সেই যুদ্ধে শহিদ হন⛦। যদিও চিনের তরফে কতজন শহিদ হয়েছেন, তার খতিয়ান দুনিয়ার সামনে পেশ করেনি বেজিং। এরপর থেকেই চিন ও ভারতের মধ্যে সংঘাত ও পারস্পরিক সম্পর্কে একেবারে চিড় ধরে। পরবর্তী পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলেছে বহু কূটনৈতিক আলোচনা। তবে সম্পর্কের তেনা উষ্ণতা এখনও ফেরেনি চিন ও ভারতের মধ্যে। এছাড়াও দক্ষিণ তিন সাগরে বেজিংয়ের দাপাদাপি নিয়েও মোটেও সন্তুষ্ট নয় দিল্লি। তা বহু আন্তর্জাতিক সবা মঞ্চেই জানান দিয়েছে দিল্লি। তবে লাদাখ পরিস্থিতির মাঝে গোগরা ও প্যানগং নিয়ে ডিসএনগেজমেন্টে দুই দেশই সাফল্যের সঙ্গে এগিয়েছে।
রিপোর্ট উল্লেখ করে বলা হয়েছে,'সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীন পরিস্থিতিতে.. চিনে অবং তাদের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক স্বার্থে পিএলএ আরও সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করে যাবে আর সংঘাত ঘন ঘব হতে পারে, 🌳বা কোনও প্যাটার্ন মেনে তা নাও ঘটতে পারে। '
এর আগে,🍸 সেপ্টেম্বর মাসে গোগরা হটস্প্রিং এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে ডিসএনগেজমেন্ট শুরু করে চ♏িনের সেনা। এরপর ডিসেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশে নতুন করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা যায়। সেবার চিনের সেনা ঢুকে পড়েছিল ভারতের অন্দরে। ঠিক যে চেনা চিনা আগ্রাসন লাদাখে দেখা যায় সেই একই প্যাটার্ন ছিল অরুণাচলেও। এরপর রয়টার্সের নয়া তথ্য দুই দেশের সম্পর্ক ঘিরে নয়া চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক /𝄹/htipad.onelink.me/277p/p7me4aup