ভারতে করোনা আ𝐆ক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করে গিয়েছে শুক্রবার। এর ফলে বিশ্বে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত চার দেশের মধ্যে নাম উঠে গেল ভারতের। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণে মৃত ও সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেই নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ভঙ্গুর এবং নাগরিক ও প্রশাসনের অসতর্কতার জন্য যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে🐼 যেতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮,৫৫২ জন এবং ৩৮৩টি নতুন মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতে আপাতত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০৮,৯৫৩, অ্যাক্টিভ রোগী ১,৯৭,৩৮৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১৫,৬৮৫ ও একজন রাজ্যের বাইরে মারা গিয়েছেন। এর পাশাপাশি, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর স🧔ংখ্যা ২,৯৫,৮৮০ ছাড়িয়ে গিয়েছে, যার ফলে আনুপাতিক হিসেবে প্রতি ৫ জন রোগীর মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেশে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লির প্রায় দ্বি⭕গুণ। তাম🐽িল নাডু, গুজরাত ও উত্তর প্রদেশ রয়েছে এর পরের সারিতে। এই পরিসংখ্যান অবশ্য মৃতের সংখ্যার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে।
এইমস, নয়াদিল্লির অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়ার দাবি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো শহরে করোনা সংক্রমণের ꦑহার উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়তে শুরু করবে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এই লক্ষণ দেখা দিতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। সংক্রমণ থিতু হয়ে সমষ্টিগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
তাঁর মতে, রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হারে বাড়ার আগেই ভা♔রতে লকডাউন আরোপ করার ফলে করোনা সংক্রমণের হার ইতালি ইত্যাদি দ❀েশের মতো অতিরিক্ত দ্রুত হারে বাড়তে পারেনি। অবশ্য এত সাবধানতা অবলম্বনের পরেও গত ছয় দিনে এক লাখ নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।
হায়দরাবাদের ই🔥ন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেল্থ-এর অতিরিক্ত অধ্যাপক ভি রামানা ধারার মতে, স্বাস্থ্যজনিত শৃঙ্খলার চিরাচরিত অভাবে এই বৃদ্ধির হার আশাতীত নয়। শহরের বস্তি অঞ্চলের মতো ঘন জনবসতিপূরণ এলাকায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাসও বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বে ভারতের সামনে র🐟য়েছে শুধু রাশিয়া, ব্রাজিল ও আমেরিকা। সংক্রমণে মৃতের হারের ভিত্তিতে ভারতের স্থান আপাতত বিশ♓্বে অষ্টম।