ভিয়েতনামকে ক্ষেপণাস্ত্র-বিশিষ্ট রণতরী উপহার দিল ভারতীয় নৌবাহিনী। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সেই রণতরী ('আইএনএস কিরপান') ভারতীয় নৌবাহিনীতে প্রায় ৩২ বছর ধরে ‘কর্মরত’ ছিল। শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে ‘ডিকমিশন’ করিয়ে ভিয়েতনামের নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় 'আইএনএস কিরপান'। সেইসঙ্গে তৈরি হয়েছে নজির। কারণ এই প্রথমবার কোনও বন্ধুরাষ্ট্রের হাতে পুরোপুরি কর্মরত কোনও যুদ্ধজাহাজ তুলে দিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, উপহার হিসেবে ভারত যে রণতরী প্রদান করল, সেটার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সমুদ্রপথে চিনের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এশিয়ার বিভিন্ন সম-মনোভা💮বাপন্ন দেশের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে ভারত। নিজেদের শক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেইসব সম-মনোভাবাপন্ন দেশের নৌবাহিনীর হাতও মজবুত করতে চাইছে নয়াদিল্লি, যাতে একঘরে হয়ে যেতে পারে চিন এবং কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করে জলপথে পেশি আস্ফালনের যে চেষ্টা করছে বেজিং, তা যেন ব্যর্থ হয়।
শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্রেফ নিজের স্বার্থরꦅক্ষা করার জন্য ‘কোনও একটি দেশ’ যাতে একতরফা কোনও কাজ করতে না পারে বা আন্তর্জাতিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজ না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই সুরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে হাত মিলিয়েছে ভারত এবং ভিয়েতনাম। ওই ‘কোনও একটি দেশ’ বলতে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল হরি কুমার যে চিনের কথা উল্লেখ করেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই সংশ্লিষ্ট মহলের।
ওই মহলের বক্তব্য, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল হরি কুমার এমন সময় সেই মন্তব্য করেছেন, যখন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের দাপট বাড়াতে চাইছে চিন এবং দক্ষিণ চিন সাগর সংলগ্ন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে বেজিং। সেই পরিস্থিতিতে ভিয়েতনামের মতো একাধিক দেশের সঙ্গে সুরক্ষা ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে ভারত। সেজন্য গত বছর জুনে কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত ভিয়েতনামের সঙ্গে ‘ডিফেন্স পার্টনারশিপ টুওয়ার্ডস ২০৩০’ চুক্তি স্বাক্ষরও করা হয়। সেইসময় হ্যানয়ে গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্😼ত্রী রাজনাথ সিং।