একদিকไে যখন ছাত্র আন্দোলনে জ্বলছ🐷ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, সেই মুহূর্তে লন্ডনেও হিংসার আগুন ছড়িয়েছে। অভিবাসী হঠানোর দাবিতে হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে লন্ডনের একাধিক জায়গা। এই অবস্থায় লন্ডন ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্কতামূলক পরামর্শ জারি করল ভারত। হিংসাপ্রবণ এলাকায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: লন্ডনে আক্রান্ত♋ পুলিশ, জ্বলল আগুন, ছোড়া হল পাথর, আঙুল মুসলিম কাউন্স༺িলরের দিকে
কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের শহর সাউথপোর্টে তিন শিশুকে হত্যার পর হিংসা ছড়ায় ইংল্যান্ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ তোল🦩া হয়েছিল, অভিবাসী এবং মুসলিমরা এই হত্যার জন্য দায়ী। ঝড়ের গতিতে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে দেশটির বিভিন্ন জায়গায়। তবে পরে জানা যায় , সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো সেই তথ্য ভুল ছিল। আসলে মুসলিম বিরোধী দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী এই ত꧟থ্য ছড়িয়ে ছিল।
লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে꧃। ভারতীয় পর্যটকদের সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থার নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের তরফে একটি এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘লন্ডনে আসা ভারতীয় নাগরিকদের ভ্রমণের সময় সতর্ক থাকার এবং যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেসমস্ত এলাকায় হিংসা চলছে সেখানে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে প্রখ্যাত গায়িকা টেলর সুইফটের অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তিন শিশু। নাচের ক্ল♍াসে চলছিল প্রস্তুতি। তখনই তাদের ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। তারপরেই লন্ডনে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়। যারফলে স্থানীয়দের মধ্যে অভিবাসী এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়। হিংসার জন্য গুজবকে দায়ী করেছে পুলিশ।
🅰 এমনকী দাঙ্গাবাজরা মসজিদ এবং হোটেলগুলিতেও হামলা চালায়। পুলিশের গাড়িতে ছোঁড়া হয়েছে কাঁচের বোতল। ম্যাঞ্চেস্টারেও পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে। সেই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে লন্ডন পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সরকার।