আইটি আইনে൲র বড়সড় সংশোধন করল কেন্দ্র। এবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার নিযুক্ত গ্রিভান্স অফিসারের উত্তরে অখুশি কোনও ব্যক্তি, কেন্দ্রের তৈরি বিশেষ কমিটির দ্বারস্থ হতে পারবেন। এই আপিল 🌌কমিটিতে একজন চেয়ারপারসন এবং দুই জন সার্বক্ষণিক সদস্য থাকবেন। এই কমিটির হাতেই থাকবে বড়সড় ক্ষমতা। শুক্রবার থেকে নয়া সংশোধনী কার্যকর হবে।
নয়া আইটি নীতি মেনে, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি গত বছর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করেছিল। আরও পড়ুন: ꧃IT Rule Change💙: আইটি নিয়মে বদল, সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তৈরি হবে প্যানেল
গ্রিভান্স আপিল কমিটি
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, গ্রিভান্স আপিল কমিটির কাছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার সিদ্ধান🦩্তকে প্রত্যাহার করার ক্ষমতা থাকবে। অর্থাত্, ধরুন আপনি ক𒉰োনও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার কাছে সেই অ্যাকাউন্টের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন। কিন্তু সংস্থার গ্রিভান্স অফিসার অ্যাকাউন্টটি ব্যান করলেন না। এমতাবস্থায় আপিল কমিটির কাছে গেলে, এবং তাঁরা যদি মনে করেন, গ্রিভান্স অফিসারের উল্টো রায়ও দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির হাতে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করতে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।
গ্রিভান্স অফিসারে🌟র বিচারপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন করা যাবে। উক্ত কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত সমাধান ঘোষণা করবে।
কেন্দ্র সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটির প্রতিটি নির꧂্দেশ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে মানতে হবে। নির্দেশ মান্য করে নেওয়া পদক্ষেপের রিপোর্ট সং🎐স্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।'
আইটি আইনের এই সর্বশেষ সংশোধনীতে সোশ্যাল ম꧟িডিয়া সংস্থাগুলিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহারকারীর অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। এরপর ১৫ দিনের মধ্যেই তার সমাধান করতে হবে। অন্যদিকে কোনও কনটেন্ট ডিলিট করার অনুরোধ করা হলে, সেই অভিযোগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করতে হব⭕ে।
ভারতে এই ধরনের প্যানেল তৈরির প্রস্তাবের কিছুক্ষণ পরেই, ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল এবং ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম (ইউএসআইএসপিএফ), উভয়েই এই জাতীয় কমিটির স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তাদের চালনায় সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। উভয় সংস্থাই গুগল, মেটা এবং টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের প্রতিনিধিত্ব করে। আরও পড়ুন: আলিশার পোস্টে শ্রীরামচন্দ্রের বেশে ঋষি সুনাক, হর্ষ গোয়েঙ্কার টুইটে 'কোহিনূর' ফেরানোর স্ট্র্যাটেজি!🍰 হইচই নেটপাড়ায়
প্যানেল গ♉ঠনের সিদ্ধান্তের ফলে ভারত সরকার এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির মধ্যে বাড়তে থাকা শীতল লড়াইয়ে আরও এক নয়া মোড় আসতে চলেছ। বিশেষত ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের প্রেক্ষিতে আগামিদিনে এই নীতির প্রণয়ন কেমন হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব। এর আগে অবশ্য ইলন মাস্ক টুইটারের ভারতীয় আইটি নীতির প্রতি অনীহা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এইভাবে সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হারানোর কোনও মানেই হয় না।