সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়েছে। তাদের বৈঠকের আগে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠকে মৌ চুক্তি সাক্ဣষরিত হয়েছে। ডিজিটালাইজেশন এবং সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মৌ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। এখানে স্বাস্থ্যের বিষয়ে সহযোগিতা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টও রয়েছে। এই মৌ চুকꦅ্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
এদিকে প্রধ𓂃ানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার পরই এই মৌ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ব্রুনেই সফর শেষ করে সিঙ্গাপুরের লায়ন শহরে পৌঁছন তখন সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী কে শানমুগাম। প্রায় ৬ বছর পর সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াংয়ের আমন্ত্রণে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই ভারত–সিঙ্গাপুর কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধি দল সুইডেন সফরে যাচ্ছে, আনা হবে অত্যাধুনিক পাম্প
অন্যদিকে প্রথম মৌ চুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছে ভারত সরকারের ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রকের সঙ্গে সিঙ্গাপুর সরকারের ডিজিটাল টেকনোলজি মন্ত্রকের। এই মৌ চুক্তির ফলে দু’দেশের মধ্যে ডিজিটাল টেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, ৫জি–সহ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ভারত–সিঙ্গাপুরের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর ইকো সিস্টেম পার্টনারশিপ নিয়েও মৌ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। তার ফলে সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে লগ্নি হবে। সিঙ্গাপুর হল ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। এই দেশে🗹 প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও সিঙ্🎀গাপুর শীর্ষে রয়েছে।
এছাড়া ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে আরও একটি মৌ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে। এই ⛦চুক্তির ফলে জীবনদায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে দরজা খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর দুই দেশ যৌথভাবে গবেষণা করতে পারবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতে যাঁরা যুক্ত তাঁরা সিঙ্গাপুরে দেশীয় বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারবেন। শিক্ষায় উন্নতি ঘটাতেও একটি মৌ চুক্তি সাক্ষর হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। তার জেরে টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল শিক্ষার উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল এক্স হ্যন্ডেলে লেখেন, ‘নতুন অধ্যায় শুরু হল দুই দেশের মধ্যে। রাষ্ট্রনেতারা রাজি হয়েছেন বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে।’