ভারতের প্রতিরক্ষায় আরও এক নতুন পালক। ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে 💟এদিন সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয় দেশের মাটিতে তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাবসোনিক ক্রুজ মিসাইল। এই তথ্য জানিয়েছে ডিআরডিও। এই গোটা পরীক্ষামূলক পর্বের নজরদারিতে একাধিক প্রযুক্তি ও বায়ুসেনার সুখোই এমকে ৩০ ছিল 🌱হাজির।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সফল পরীক্ষা ঘিরে ডিআরডিওকে অভিনন্দর জানিয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই সাবসোনিক মিসাইল তাবড় পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। চিন ও পাকিস্তানের বুক কাঁপিয়ে এই যুদ্ধাস্ত্র ভারতের গর্বের অধ্যায়কে তুলে ধরেছে। ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড অর্গানাইজেনশন’ ডিআরডিও জানিয়েছে, এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে নজরজারির জন্য ছিল বেশ কিছু রেঞ্জ সেন্সর, যেমন ব়্যাডার, ইলেকট্রিক অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম। এছাড়াও ছিল টেলিমেট্রি । এই সমস্ত নজরদারিমূলক সরঞ্জাম, বিভিন্ন জায়গায় বসানো ছিল। যারা নজরে রাখে এই ক্রুজ মিসাইলের গতিবিধি। এছাড়াও কীভাবে উড়ান নিচ্ছে মিসাইল তা নজর করতে মোতায়েন ছিল বায়ুসেনার সুখোই এমকে ৩০ আই। জানা গিয়েছে, ওয়েপয়েন্ট নেভিগেশন ব্যবহার করে নির্ধারিত পথ ধরেই ওই মিসাইল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গিয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রায় সমুদ্র ছুঁইছুই স্বল্প উচ্চতা নিয়ে এই মিসাইল কার্যত ভারতের প্রতিরক্ষায় নয়া হাতিয়ার হতে চলেছে। এই মিসাইল তৈরি হয়েছে দেশীয় প্রপালসন সিস্টেমে। যে সিস্টেম তৈরি করেছে বেঙ্গালুরুর গ্যাস টারবাইন রিসার্চ এসটাবলিশমেন্ট। যাতে মিসাইলের পারফরম্যান্সে খামতি না থাকে, তার জন্য, আরও উন্নত প্রযুক্তির অ্যাভিওনিক্স ও সফ্টওয়্য়ার ব্যবহার করা হয়েছে।ক্ষেপণাস্ত্রটি বেঙ্✱গালুরুর ডিআরডিও ল্যাবরেটরি এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট (এডিই) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য গবেষণাগার এবং ভারতীয় শিল্পের অবদান।
বৃহস্পতিবার এই সফল উৎক্ষেপণের সাক্ষী ছিলেন ডিআরডিওর বিজ্ঞানীরা। ডিআরডিওর চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাতও ডিআরডিওর গোটা দলকে এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান। এদিকে, দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘ দেশীয় প্রপালশন দ্বারা চালিত দেশীয় লং রেঞ্জ সাবসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল বিকাশ ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়নের জন্যꦍ একটি বড় মাইলফলক। ’