করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন সংস্করণের হদিশ পেতে ব্রিটেন থেকে ভারতে আগত বিমানযাত্রীদের থেকে পাওয়া কোভিড পজিটিভ নমুনা আবার RT-PCR পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রীয় স📖্বাস্থ্য ও পরꦐিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক কোভিড পজিটিভ রোগীর জন্য পৃথক আইসোলেশন ব্যবস্থা করা হবে এবং যাঁদের নমুনায় ফের RT-PCR পদ্ধত🦹ির পরীক্ষ✅ায় নতুন সংক্রমণ সংস্করণের ইঙ্গিত দেবে, তাঁদেরও পৃথক আইসোলেশন কেন্দ্রে থাকতে হবে।
বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে রোগীদের প্রয়োজনীয় কোভিড চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে, এবং ১৪তম দিনে তাঁদের থেকে ফের নমুনা সংগ্রহ করে পুনরায় পরীক্ষা করা হবে। ১৪তম দিনেও নমুনা পজিটিভ দেখা যাওয়ার পরে আরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না ২৪ গণᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্টার ব্যবধানে দুটি পরীক্ষার নেগেটিভ ফল পাওয়া যা🃏বে।
বিমানবন্দরে যে সমস্ত যাত্রীর নমুনা RT-PCR পদ্ধতিতে পরীক্ষার পরে নেগেটিভ পাওয়া যাবে, তাঁদের নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পꦡরামর্শ দেওয়া হবে এবং ফের পরীক্ষা চালিয়ে যেতে বলা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গত চার সপ্তাহে ভারতে পদার্পণ করা ব্রিটেনের সমস্ত যাত্রীর উপরে ন🦩জরদারি জারি রাখার প্রক্রিয়াও চালু করেছে প্রশাসন।&🔴nbsp;
নতুন সংস্করণের কোভিড সংক্রমণ চিকিৎসায় ব﷽িস্তারিত নির্দেশিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে খুঁজে পাওয়া সংক্রমণের হালফিল সংক্রমণ প্রচলিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের তুলনায় ৭০% বেশি ছোঁয়াচে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত ১৯,৫৫৬ জন নতুন কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ভারতে। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড সংক্রমণের জেরে ৩০১ জনের মৃত্যু 👍হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান। ভারতে মোট অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা আপাতত কমে ২,৯২,৫১৮ হয়েছে, যা গত ১৬২ দিনের হিসেবে নဣিম্নতম। গত ১৩ জুলাই অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ৩,০১,৬০৯।
ভারতে বর্তমানে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১০,০৭৫,১১৬, যার মধ্যে ৯,৬৩৬,৪৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ১,৪৬,১১১ জন মারা গিয়েছেন। গত ২৪ গণ্টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সুস্থতার হღার এ দিন ৯৫.৬৪%। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দৈনিক নতন রোগীর সংখ্যা গত ২৪ দিনের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা এবং অ্যাক্টিভ রোগীর ⛎সংখ্যার ব্যবধান আপাতত ৯,৩৪৩,৯৬৯।
গত সোমবার নতুন সেরে ওঠা রোগীর মধ্যে ৭১.৬১༺% পাওয়া গিয়েছে দেশের ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রোগীর সংখ্যা কেরালায়, যে রাজ্যে ৪,৪৭১ জন সেরে উঠেছেন। এর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ২,৬২৭। তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র, যেখানে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ২,০৬৪।
বিশ্বজুড়ে মোট ৭৭৩.৪০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ১,৭০১,৮২২ জন। এই তথ্য জানিয়েছে জন হপকিন্স বিশ🌳্ববিদ্যালয়।
তারই মধ্যে নতুন প্রজাতির সংস্করণ নিয়ে দিশাহারা বেশ কয়েকটি দেশ, যার জেরে নতুন করে ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত করতে বাধ্য হয়ꦍেছে একাধিক দেশের সরকার। ভারত থেকে আর্জেন্তিনা, ব্রিটেন থেকে আগত উড়ান বাতিল করেছে ২৪টিরও বেশি রাষ্ট্র।