শিশির গুপ্তদক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বাড়াচ্ছে চিন। অন্যত্রও সেই কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে আগামী বছরই আমেরিকা থেকে চারটি সাবমেরিন ধ্বংসকারী পি-৮আই বিমান ভারতের হাতে আসছে। বছরের শেষের দিকে আরও ছ'টি বিমান কেনার সুযোগ রয়েছে ভারতের। যা ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি বাড়াবে ভারতের। নয়াদিল্লি এবং সিয়েটেলের আধিকারিকরা একথাই জানিয়েছেন।পি-৮এ পসেইডন গোত্রের যে পি-৮আই বিমান ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে, তা সমুদ্রে টহলদারির জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেই বিমানের সংখ্যায় ‘আই’ হিসেবে ইন্ডিয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিমানে হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র এবং হালকা টর্পেডো রয়েছে। শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের অবস্থান জানতে ১২৯ টি সোনাবুয় বহন করতে পারে বিমানটি। যা রেডিয়ো সিগনালের মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন ধ্বংস করে দিতে পারে। একইসঙ্গে জাহাজ ধ্বংসের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়তে পারে। সেটির পাল্লা ২,২০০ কিলোমিটার। বিমানটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৮৯ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমানের ফলে দূরপাল্লার সাবমেরিন ধ্বংস, নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং ইলেট্রনিক সিগনাল রুদ্ধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর।ইতিমধ্যে মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান এবং পূর্ব আফ্রিকার একাধিক বন্দরে নিজেদের দখলদারী কায়েম করেছে বেজিং। শুধু ভারতীয় নৌবাহিনীকে ঠেকানোর জন্য নয়, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ফোর্সেস, ফরাসি এবং ব্রিটিশ নৌসেনাকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার জন্য সেই পথে হেঁটেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, জাতীয় সুরক্ষার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বিশ্বাস, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাখির চোখ করার সময় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের আগ্রাসী পদক্ষেপের যোগসূত্র আছে। এই পরিস্থিতিতে পি-৮আই বিমান আসার ফলে ভারত অত্যন্ত লাভবান হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।তবে শুধু তাই নয়, অন্য অভিযানেও সেই বিমান ব্যবহার করতে পারে ভারত। ইতিমধ্যে ২০১৭ সালে ডোকলাম বিবাদ বা লাদাখ বিবাদের নজরদারি, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য এই ধরনের বিমান ব্যবহার করেছে নয়াদিল্লি। ওই চারটি পি-৮আই হাতে এলে সেই ক্ষমতা আরও বাড়বে।