আগামী তথ্য যুগে দ্রুত পা রাখার জন্য প্রস্তুত ভারত। সর্বোত্তম দক্ষতার ভাণ্ডার এবং বৃহত্তম বাজার থাকার দরুণ এই পদক্ষেপ ভারতের অনায়াসলব্ধ হবে। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন বেঙ্গালুরু প্রযুক্তি সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রতিভা এবং প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা অন্তহীন। তাঁদের জন্য নিজেদের সর্বস্ব দেওয়ার এবং তাঁদেরলঅনুপ্রাণিত করার এই হল সময়। আমাদের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র দেশকে গর্বিত করবে বলেই বিশ্বাস করি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পযুগের সাপল্য এখন পিছনের আয়নায় জায়গা করে নিয়েছে। বর্তমানে আমরা তথ্যযুগেরমধ্যে রয়েছি। প্রত্যাশিত সময়ের আগেই পা রাখতে চলেছে ভবিষ্যৎ। শিল্পযুগে পরিবর্তন ঘটেছে সামান্যই। কিন্তু তথ্যযুগে দ্রুত বদল ঘটছে।’তাঁর মতে, স্থানীয় প্রয়োজনে দরিদ্রদের জন্য আবাসন নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গরিবেগ বৃদ্ধি, সব কিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে প্রযুক্তি। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘অতীতে যুদ্ধে কোন পক্ষ বেশি শক্তিশালী, তা নির্ধারিত হত কার কত সংখ্যক হাতি ও ঘোড়া রয়েছে তার উপর। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের যে কোনও সংঘাতে প্রযুক্তি বড়ভূমিকা পালন করছে। সফ্টওয়্যার থেকে ড্রোন থেকে ইউএভি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সংজ্ঞা পালটে দিচ্ছে প্রযুক্তি। তথ্যযুগে কে প্রথম পদক্ষেপ করল, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কে সেরা চাল দিল সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও মুহূর্তে যে কেউ এমন একটি পণ্য তৈরি করে ফেলতে পারে যা বাজারের প্রচলিত সমীকরণ উলটে দিতে পারে।’পাঁচ বছর আগে উন্মোচিত ভারতের ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযান উল্লেখ করে নমো বলেন, ডিজিটাল বিভাজন ও মানব-কেন্দ্রিক পদক্ষেপের মধ্যে সেতু গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এই কারণে সাধারণ সরকারি উদ্যোগের গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রান্তিক মানুষেরও তা জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে।প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা মানুষের মর্যাদার বিকাশ ঘটিয়েছি। একটিমাত্র ক্লিক-এর সাহায্যে কোটি কোটি কৃষক আর্থিক সহায়তা সাভ করছেন। লকডাউনের তুঙ্গ অবস্থায় দেশের দরিদ্রজন যাতে তাড়াতাড়ি আর্থিক সাহায্য লাভ করেন, তা নিশ্চিত করেছে প্রযুক্তি। এই ত্রাণের মাত্রা তুলনাহীন।’পরিশেষে মোদী বলেন, ‘একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ বছর আগে ভারতে ইন্টারনেট প্রবেশ করেছিল। বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা ৭৫ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে গিয়েছে।’