২০২০ সালে লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের পর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় অন্তত পক্ষে ছ’টি নতুন এয়ারফিল্ড প্রস্তুত করেছে পিপল’স লিবারেশন আর্মি। সংঘাতের আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় চিনাদের এক ডজন এয়ারফিল্ড ছিল। এই আবহে চিনের এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে এবার কোমর কষে নামতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এবার সীমান্ত এলাকায় ভারত নতুন এয়ারফিল্ড তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। (আরও পড়ুন: বিদেশ মন্ত্রকে বড় রদব🍃দল, সচিব পদে এলেন কোয়াত্রা, UN-নেপাল-ভুটানে নয়া দূত নিয়োগ)
সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির সামনে এক বিবৃতিতে বায়ুস𓄧েনার তরফে জানানো হয়েছে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিনা সেনা ইতিমধ্যেই অনেকগুলি বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে। এর মধ্যে গত দেড় বছরে অনেকগুলি বিমানঘাঁটি নির্মিত হয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিন যে গতিতে এই অঞ্চলে বিমানবাহিনীর নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে তা ভারতের জন্য উদ্বেগজনক। এমতাবস্থায় ভারতও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। চিনের আদলেই এবার লাদাখে নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণের কাজ করবে বায়ুসেনা। পাশাপাশি পুরানো এয়ারফিল্ড আপগ্রেড করবে ভারত। তবে, বায়ুস♛েনার তরফে নতুন এয়ারফিল্ডের নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
বায়ুসেনার কৌশল হবে চিনা সামরিক বাহিনীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে পালটা আক্রমণ করার ক্ষমতা অর্জন করা। এই জন্যই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকা থেকে দূরে বিমানঘাঁটি ব্যবহার করা হবে বায়ুসেনার তরফে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানিয়েছে যে বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে ২০২৪ স👍ালের অক্টোবরের মধ্যে ২৪টি বিমানঘাঁটির 🦂আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই চলছে। এই বিমানঘাঁটির বেশির ভাগই চিন ও পাকিস্তানের সীমান্তের কাছে। নৌবাহিনীর নয়টি এয়ারফিল্ড এবং দু’টি করে কোস্ট গার্ড এবং এভিয়েশন রিসার্চ সেন্টারের বিমানঘাঁটিও উন্নত ও অত্যাধুনিক করা হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় চিনা সেনাবাহিনীর ১৮ থেকে ২০টি সক্রিয় এয়ারফিল্ড রয়েছে। কিছু এয়ারফিল্ড একেবারে নতুন তৈরি করা হয়েছে এবং কিছু পুরোনো এয়ারফিল্ডকে আরও উন্নত করা হয়েছে। এ ছাড়া চিন কিছু অসামরিক ཧবিমানবন্দরও সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যবহার করতে শুরু করেছে। সেই তুলনায় সীমান্ত এলাকায় ভারতের বিমানঘাঁটির সংখ্যা এখনও কম। কিন্তু চেষ্টা চলছে যাতে চিনের সমান বা তার বেশি সংখ্যক ঘাঁটি ভারত তৈরি করে ফেলতে পারে।