সম্প্রতি বিধ্বংসী বন্যায় ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে সিকিম। রাজ্যটির একাধিক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তা𓂃রপরেই সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে সেনাবাহিনী। সিকিমে ১৫০ ফুটের ঝুলন্ত সেতুর পর এবার বেইলি ব্রিজ বানিয়ে ফেললেন সেনা জওয়ানরা। তাও আবার মাত্র ৭২ ঘণ্টায়। গ্যাংটকের ডিকচু-সানক্লাং সড়কটি বন্যা ও ধসে ভেঙে গিয়েছিল। সেই সড়কের ওপর ৭০ ফুটের বেইলি ব্রিজ বানালেন সেনা বাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা।
আরও পড়ুন: আবার নাগাড়ে বৃষ্টিতে নামল ব্যাপক ধস, বন্ধ জাতীয় সড়ক, বিচ্ছিন্ন সিকিম–কালিম্পဣং
জানা গিয়েছে, ত্রিশক্তি কর্পসের সেনা ইঞ্জিনিয়াররা ২৩ জুন এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। সেনাবাহিনীকে এই কাজে সাহায্য করেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং স্থানীয় প্রশাসন। সেতু নির্মাণের জন্য দিনরাত সেখানে কাজ করেন ꦛসেনা জওয়ানরা। তবে লাগাতার বর্ষণের ফলে সেখানে কাজ করাটা সহজ ছিল না। সেই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও মাত্র তিন দিনের মধ্যে এই সেতু নির্মাণ করে নজির গড়লেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
উল্লেখ্য, ডিকচু-সানক্লাং রোডটি চলে গিয়েছে চুংথাংয়ের দিকে। বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানগান জেলা। এই সেতু তৈরি হওয়ায় ওই জেলায় অনায়াসে এবার ত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব🅺 হবে। বন্যায় তিস্তা নদীর কাছে অবস্থিত মানগানে ১৬ জুন পর্যন্ত প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। এই সেতুটি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ𒁃 স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, রাজ্যের অরণ্য মন্ত্রী ও বিপর্যয় মোকাবেলার রাজ্য সচিব সেতু নির্মাণের পর বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করেছেন। ৩ তিন দিনের মধ্যে এত বড় সেতু বানিয়ে ফেলার জন্য তারা সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১১ জুন থেকে ভারী বর্ষণের কবলে পড়েছিল সিকিম। যারফলে ধস নেমে ও বন্♏যায় ভেঙে যায় একাধিক রাস্তা। সেই সমস্ত রাস্তা দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা চলছে। এর আগে উত্তর সিকিমে ১৫০ ফুটের ঝুলন্ত সেতু সেনাবাহিনী নির্মাণ করেছিল মাত্র ৪৮ ঘণ্টায়। আর এবার বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে অন্যান্য নজির তৈরি করল ♉সেনাবাহিনী। এর ফলে এই রাস্তায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে।