গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ভাটিন্ডা সেনা ছাউনির এক জওয়ানের। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, বুধবার ভোরে সেনা ছাউনিতে যে গুলিচালনার ঘܫটনা ঘটেছে, সেটির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। ওই জওয়ান আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তবে ভুলবশত গুলিচালনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সেনা।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে গুলিবিদ্ধ হয়ে বুধবার বিকেল ৪ টে ৩০ মিনিটে ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে (সেন্ট্রির দায়িত্বে) ছিলেন ওই জওয়ান। সঙ্গে ছিল অস্ত্র (সার্ভিস অস্ত্র)। তাঁর দেহের পাশ থেকে ওই অস্ত্র এবং ওই অস্ত্রের কার্তুজ উদ্ধার করা🐽 হয়েছে।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ওই জওয়ান। প্র💖াথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে বুধবারের গুলিচালনার ঘটনার কোনও যোগ নেই। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, দুর্ঘটনাবশত গুলিচালনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বুধবার ভাটিন্ডায় কী হয়েছিল?
বুধবার ভোর ৪ টে ৩০ মিনিট নাগাদ পঞ্জাবের ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে গুলি চলে। সেই ঘটনায় চার জওয়ানের মৃত্যু হয়। যে সময় ♎গুলি চলে, সেইসময় আর্টিলারি ইউনিটের অফিসারদের মেসের কাছে নিজেদের ব্যারাকে ঘুমাচ্ছিলেন ওই চার জওয়ান (প্রত্যেকের বয়স ২০-র কোঠায়)। সেই ঘটনায় কুর্তা-পাজামা পরিহিত দুই ব্যক্তির খোঁজ চলছে। গুলিচালনার ঘটনর পর যে দুই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে দেখেছেন ⛦বলে দাবি করেছেন এক জওয়ান। একজনের হাতে ইনসাস রাইফেল ছিল। হাতে ছিল কুড়ুল।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা নয়। তারইমধ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে যে চলতি সপ্তাহে যে ইনসাস রাইফেল উধাও হয়ে গিয়েছিল, সেটা দিয়েই গুলি চালানো হয়ে🗹ছে। ওই রাইফেলের ২৮ রাউন্ড গুলি💎রও হদিশ মিলছিল না।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )