সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। আর এই অধিবেশন চলাকালীন পূর্ব লাদাখে ভারত–চিন সঙ্ঘাত নিয়ে বিবৃতি দিতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রবিবার বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি জানিয়েছেন, লাদাখের পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার কৌশলগত অবস্থানের ব্যাপারে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নেবে। মঙ্গলবার দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি সাংসদদের জানানো হবে।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোকলাম বিবাদের সময় সরকারের বিবৃতি দাবি করে বিরোধী দলগুলি। সে সময় এ ব্যাপারে সংসদে মুখ খোলেনি সরকার। এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়। তবে এবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী রবিবারের বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, সরকার যে কোনও বিষয় নিয়েই আলোচনায় রাজি।এদিকে, বর্তমানে পূর্ব লাদাখে চিন ৫০ হাজার সেনা, ১৫০টি যুদ্ধজাহাজ, ট্যাঙ্ক, মিসাইল, গোলা বারুদ ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিযুক্ত রেখেছে। অন্যদিকে ভারতও পিছু হটছে না। চিনের মতোই ভারতও অস্ত্রশস্ত্র ও লোকবল মোতায়েন করেছে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ কূলে গুরুত্বপূর্ণ চুড়োগুলি ভারতের হাতে, তাই চিন এখন কিছু করতে পারছে না। যে কোনও প্রকারের প্ররোচনা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারত। এক শীর্ষ সেনা কর্তার মতে, প্রতিদিনই সার বেঁধে অস্ত্রশস্ত্র ও সৈন্য সাজিয়ে রাখে চিন। এটা শুধুই লোকদেখানোর জন্য।