দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে। গাফিলতি বা কর্তব্যে অবহেলার দꦗায় এড়াতে পারবেন না রেলকর্মীরা। এই বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল। কর্মীদের অবহে💯লার কারণে দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি ঘটলে শাস্তি দেওয়া হবে। দুর্ঘটনার তদন্তের রিপোর্টে কোনও কর্মীর দোষ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে রেল।
৫ ডিসেম্বরের এক চিঠিতে রেল বোর্ড তার জোনাল অফিসগুলিকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে এমন কর্মীদের বিরুদ্ধে যেন সংশ্লিষ্ট জোনাল ▨অফিস 'শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা' নেয়।
কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন এবং ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশনের (DFCC) প্রধান-সহ সমস্ত জেনারেল ম্যানেজারদেরকেই চিঠি দিয়েছে রেল বোর্ড। তাতে স্পশ্ট লেখা, সাম্প্রতিক কিছু দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকদের কর্তব্যে অবহেলা উঠে এসেছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে এই কর্মী-আধিকারিকদের শুধুমাত্র চিহ্নিত করলেই হবে না। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী অফিসারের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসিংয়ের শুর🌌ুতেই ছক্কা! ৪ কোটি টাকার প্যাকেজ পেলেন IIT কানপুরের ছাত্র
চিঠিতে লেখা, বিভিন্ন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দেখ𝕴া যায়, কখনও কখনও আধিকারিকদের অবহেলার কারণে
(i) রেলের সম্পত্তি/কাজের যথাযথ নজরদারির অভাব
(ii) ট্রেনের পরিচালনে তদারকিতে অবহেলা
(iii) কাজের সাইটে সুরক্ষার অভাব
(iv) ট্রেনের পরিচালনে যথাযথ নিয়ম মেনে না চলা
(v) ত্রুটিপূর্ণ নকশা তৈরি
(vi) কাজের পদ্ধতিতে ত্রুটি
(vii) সম্পূর্ণ ব্যবস্থার ব্যর্থতা
ইত্যাদি ঘটনা ঘটেছে।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অন✨িচ্ছুক রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, রেলকর্মীরা যেন কাজের প্রতি দায়বদ্ধ হন। তাঁর যেন ভুল করলে জবাবদিহিতার দায় থাকে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করাই এখন ভারতীয় রেলের লক্ষ্য।
এমনিতেই দিন দিন আরও কঠোর হচ্ছে ভারতীয় রেল। গত বছর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পদে আসার পর থেকে আরও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। কর্তব্য পালনে ব্যর্থতা, দুর্নীতি ইত্যাদি অভিযোগে নিয়মিত কর্মীদের ছাঁটাই বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দিচ্ছে রেল। ফলে রেলের কোনও বিভাগেই আর 'সরকারি চাকরি... আসি যাই, মাইনে পাই,' ভাবার প্রশ্নই ওঠে না। এই প্রতিবেদন পড়লেই বুঝে যাবেন ঠিক কতটা কড়াকড়ি করা হচ্ছে(ক্লিক করুন): কাজে গাফিলতি, ঘুষ নেওয়ার দায়ে গত ১৬ মাসে চাকরি গিয়েছে ১৩৯ রেলকর্মীর
রেলের নতুন𝄹 এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষের জীবনহানি ঘটলে এবং/অথবা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যোগাযোগের লাইনে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিঘ্ন ঘটলে বা জেনারেল ম্যানেজার যদি মনে করেন যে আধিকারিক(দের) অবহেলা রয়েছে, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে জোনাল রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক(দের) এবং/অথবা সংশ্লিষ্ট PSU-কে দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট বানাতে হবে। তাতে অবশ্যই কেউ দোষী থাকলে তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। জেনারেল ম্যানেজার, প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিকের সুপারিশের ভ♌িত্তিতে, দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করার সময় এই ধরনের আধিকারিক(দের) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।