মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে উন্নত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেটার জন্য প্রযুক্তির ভূমিকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর সেই প্রযুক্তি বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল এরকমই একটা ১৫ অগস্ট থেকে। ১৯৯৮ সালের ১৫ অগস্ট ভারতে প্রথম ইন্টারন🧸েট পরিষেবা (বেসরকরি ক্ষেত্রে) চালু করেছে বিদেশ সঞ্চার নꦡিগম লিমিটেড (Videsh Sanchar Nigam Limited)। যা বর্তমানে টাটা কমিউনিকশন নামে পরিচিত। সেইসময় বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন রেট চার্ট তৈরি করা হয়েছিল।
VSNL-র (অধুনা টাটা কমিউনিকেশন) ইন্টারনেট রেট চার্ট
বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেডের রেট চার্ট অনুযায়ী, ১৯৯৫ সালের অগস্টে মোট পাঁচটি ‘ইউজার ক্যাটেগরি’ ভাগ করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল - প্রফেশনাল (পেশাদার), নন-কমার্শিয়াল (অবাণিজ্যিক), কমার্শিয়াল (বাণিজ্যিক), এক্সপোর্টার (রফতানিকারক) এবং সার্ভিস প্রোভাইডার (পরিষেবা প্রদানকারী)। সেইসময় ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ স্পিড দেওয়া হচ্ছিল ১২৮ kbps। আর সবথেকে কম স্পিড ৯.৬ kbps ছিল। সেইসঙ্গে ৬৪ kbps-র স্পিডেরও পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছিল। অর্থাৎ তিন ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান 🦩করা হত (৯.৬ kbps, ৬৪ kbps এবং ১২৮ kbps)। মোট দুই ধরনের লাইন ছিল - ডায়াল-আপ এবং লিজড লাইন।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৫ সালে যখন বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছিল, তখন চিনেও ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল না। এমনকী ১৯৯৬ সালে বিদেশ সঞ্চার নিগম লিমিটেডের থেকে সেই বিষয়ে জানতে এসেছিলেন চিনের তৎকালীন জুনিয়র মন্ত্রী। তবে ১৯৮৬ সালেই ভারতে ইন্টারনেটের একেবারে 'মিনি ভার্সন' এসে গিয়েছিল। সেইসময় ভারত সরকার এবং রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়নমূলক♌ কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ প্রয়াসে 'এডুকেশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক' চালু করা হয়েছিল। শুধুমাত্র শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ এবং গবেষকদের জন্য চালু করা হয়েছিল সেই 'এডুকেশনাল ꦑরিসার্চ নেটওয়ার্ক'। তখনও অবশ্য ওয়েব ব্রাউজার এসে পৌঁছায়নি ভারতে।