তাইওয়ান প্রণালীতে বিগত কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা বেড়েছে। এই আবহে ইন্দো-প্🥂রসান্ত অঞ্চলে কোয়াডভুক্ত দেশের প্রভাচ চিন্তায় রেখেছে চিনকে। আর বেজিংয়ের কপালে সেই চিন্তার রেখা দীর্ঘায়িত করে বঙ্গোপসাগরে যৌথ সামরিক মহড়া দিল ভারত এবং জাপান। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতেই এই মহড়া বলে জানা গিয়েছ🔯ে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় নৌবাহিনী এই মহড়ার আয়োজন করেছিল। এই সামুদ্রিক অনুশীলন জাপান এবং ভারতের যৌথ মহড়ার (JIMEX 22) ষষ্ঠ সংস্করণ। ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল এই মহড়া। ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাপা🌌ন মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এই যৌথ মহড়ার জন্য একটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার ‘ইজুমো’ এবং একটি গাইডেড ক্ষেপণা🐓স্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজ ‘তাকানামি’ মোতায়েন করেছিল।
এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে বহুমুখী স্টেলথ ফ্রিগেট ‘সহ্যাদ্রি’ এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার ‘কর্ভেট কদমাট্ট’ এবং ‘কাভারত্তি’ করা হয়। তাছাড়া গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার রণবিজয়, ফ্লিট ট্যাঙ্কার জ্যোতি, অফশোর টহল জাহাজ সুকন্যা এবং সাবমেরিন, MIG 29K ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট, লং রেঞ্জ মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফ্ট এবং ভারতীয🐬় নৌবাহিনীর জাহাজবাহিত হেলিকপ্টারগুলিও এই মহড়ায় অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, ইন্দো-প্য🦋াসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের উপর কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত ও জাপান। এই আবহে সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জাপান সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। সেখানে রাজনাথ বৈঠক করেছিলেন জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা। উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীই সুরক্ষার ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। সেই বৈঠকের পরপরই এই যৌথ মহড়া হল বঙ্গোপসাগরে। বৈঠকের পর দুই মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। এই আবহে নিয়মিত যৌথ যুদ্ধবিমান মহড়া করার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী।