করোনাকালে প্রথম বাজেট। অনেকেই ভেবেছিলেন সংস্কারের পথ থেকে সরে হয়তো শুধুই জনদরদী নীতি নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছরেই ডিফেন্সিভ খেলার কোনও অভিপ্রায়ই ছিল না মোদী সরকারের। তাই বাজেটে সংস্কারের প্রতিশ্রুতির বন্যা। ফলস্বরূপ দুই হাত উপুড় করে আশীর্বাদ করল স্টক এক্সচেঞ্জ। একদিন বিএসই বৃদ্ধি পেল ২৩১৪ পয়েন্ট। মোট ৬.৩৪ লাখ কোটি টাকা কামালেন লগ্নিকারীরা। একসময় প্রায় ২৪৭৮ পয়েন্ট উঠেছিল বাজেট। শেষ পর্যন্ত সূচক বন্ধ হয় ৪৮৬০০.৬১ পয়েন্টে। ১৯৯৭ সালের পর এতটা চড়েনি বাজার বাজেটের দিনে। স্বাস্থ্যখাতে টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ। অন্যদিকে কৃষি সেস বসানো হয়েছে কিছু আমদানি করা মালের ওপর। কাস্টমস শুল্ক বসানো হয়েছে কিছু পণ্যের ওপর ঘরোয়া বাজারকে চাঙ্গা করার জন্য। বিমাক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজির পরিমাণ ৪৯ শতাংশ থেকে ৭৪ শতাংশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পুনর্জীবন খাতে কুড়ি হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। বিলগ্নীকরণ থেকে আগামী অর্থবর্ষে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তুলতে চায় সরকার। অনেকে ভেবেছিলেন এবার হয়তো কোভিড ট্যাক্স বসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। কোনও ক্যাপিটাল গেইনস ট্যাক্সও বাড়েনি। ফলে খুশি লগ্নিকারীরা। নিফটি বেড়েছে ৪.৭ শতাংশ। বিএসই-তে সবচেয়ে লাভ করেছে IndusInd Bank। এছাড়াও বড় লাভ করেছে ICICI Bank, Bajaj Finserv, SBI, Larsen ও Toubro and HDFC. একই সঙ্গে ধনীদের ওপর অতিরিক্ত কর চাপবে বলে যেটা মনে করা হয়েছিল সেটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এদিন বিএসইতে সব ক্ষেত্রসূচকই লাভে শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লাভ করেছে ব্যাঙ্ক ক্ষেত্র সূচক। সবমিলিয়ে ১৯৪২টি স্টকের দাম বেড়েছে, ৯৯১টি কমেছে, ১৯৬ অপরিবর্তিত থেকেছে।