আমেরিকান ড্রোন হানায় সেনাধ্যক্ষ কাসেন সোলেইমানির মৃত্যুর পরে পরমাণু সমৃদ্ধিকরণে সীমারেখা নির্ধারণের আন্তর্জাতিক চুক্তি মানবে বলে জানিয়ে দিল ইরান।এই ঘোষণার জেরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তেহরান। এক কথায়, পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের পথে ইরানের পদক্ষেপের সম্ভাবনা প্রবলতর হল।তবে সরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে ইউরোপীয় বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলাই রেখেছে তেহরান। যদিও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশের বাইরে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে ইরান প্রশাসনকে এখনও পর্যন্ত রাজি করাতে পারেনি ইউরোপের কোনও দেশ।এ দিকে, এই ঘোষণার ফলে আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রেও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেই তার শত্রু ইজরায়েল ঘোষণা করেছে যে, ইরানকে কখনও আণবিক বোমা বানাতে তারা দেবে না।অন্য দিকে, ঘোষণার পরে ইরানকে চুক্তি মেনে চলার জন্য আর্জি জানিয়েছেন ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের নেতারা। এই মর্মে এক যৌথ বিবৃতিতে সই করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল মাকরঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।তবে পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা করলেও এই বিষয়ে কত দূর এগোনোর পরিকল্পনা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি তেহরান। এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ ইহরানের পারমাণবিক পদক্ষেপের উপর নজরদারির দায়িত্বে থাকা রাষ্টপুঞ্জের অধীনস্থ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ। যদিও আগের মতোই আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান।কাসেম সোলেইমানির হত্যার জেরে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে নতুন করে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্ আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে ইরানের পারমাণবিক নীতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। মার্কিন ড্রোন হানায় সোলেইমানির হত্যার কঠোর প্রতিহিংসা নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তেহরান।