কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ব্রিটেন থেকে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শোরগোল চরমে। তার মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও ব𝕴্যাপারই নেই।
এদিকে রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে বসে জানিয়েছিলেন ভারতের গণতন্ত্রের উপর আঘাত আসছে। তা নিয়ে বিজেপি দাবি তুলেছিল রাহুলকে এনিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, যারা বলছে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া দরকার তাদের জন্য একটা কথা বলতে চাই। যখন মোদীজি প🍌াঁচ, ছয়টা দেশে গিয়েছিলেন ও ভারতবাসীকে অপমান করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন ভারতে জন্মানো একটা পাপ…
কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গণতন্ত্রকে দাবিয়ে রাখা হচ্ছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। টিভি চ্যানেলগুলিকে চাপে রাখা হচ্ছে, যারা সত্যি কথা বলছেন তাদের জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যদি এগুলি গণতন্ত্রকে হত্যা করার কাজ না হয় তবে কীভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়! সুতরাং ক্ষমা চাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই।
এদিকে ব্রিটেন থেকে সম্প্রতি কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছিলেন রাহুল। এরপরই সংসদে এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেখান থেকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আঘাত নেমে আসছে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ সাংসদদের সামনে বলেছিলেন ভারতের পার্লামেন্টে বিরোধীরা বলতে উঠলেই মাঝে🌸মধ্য়ে মাইক অফ করে দেওয়া হয়।
এদিকে রাহুলের এই বক্তব্যের পরে তুমুল প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, বিদেশের মাটিতে বসে রাহুল দেশের বদনাম করেছেন। ভিত্তিহীন কথা বলেছ🍸েন। এটা মানা যায় না। রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেছিলেন তারা। তবে কংগ্রেস পালটা সুর চড়িয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সরাসরি জানিয়ে দিলেন ক্ষমা চাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই।
এর আগে এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। রাহুল গান্ধীর নাম না করে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, কেউ একজন দেশের বাইরে গিয়ে বলছে সংসদে তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে রাখা হয়। এর চেয়ে বড় মিথ্য়ে আর নেই। ধনখড় বলেন, আমি সাংবিধানিক কর্তব্যবোধ থেকে গোটা বিশ্বকে জানাচ্ছি এটা কখনও ভারতীয় পার্লামেন্টে হয়নি। হ্য়াঁ একটা সময় ভারতে কালো অধ্যায় এসেছিল। তার নাম হল 🍌জরুরী অবস্থা। তবে এখন আর সেটা হওয়া সম্ভব নয়। মিরাটে একটি আয়ুর্বেদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি একথা জানিয়েছিলেন।