তাহলে কি করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এর (সেকেন্ড ওয়েভ) মুখে দাঁড়িয়ে আছে ভারত? মহারাষ্ট্র, কেরালা, মধ্🐼যপ্রদেশ এবং পঞ্জাব-সহ ভারতের একাধিক রাজ্যে যেভাবে আক্রান্📖তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে সেই আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত করোনাভাইরাসের চারিত্রিক পরিবর্তনের ফলে আশঙ্কার প্রহর গুনছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এমনিতে গত কয়েক মাস ধরে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছিল। তার জেরে আমজনতার একাংশের মধ্যে রীতিমতো গা-ছাড়া মনোভাব🦋 তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ১৩,৯৩৩ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা গত ২৫ জানুয়ারির পর দেশে সর্বোচ্চ। একমাত্র ২৯ জানুয়ারি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল। শুধু তাই নয়, টানা পাঁচদিন দেশে নয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বাধিক দৈনিক আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেশে লাগাতার পাঁচদিন নয়া সংক্রমিতের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
তারইমধ্যে মহারাষ্ট্রে অমরাবতী এবং আকোলাতে নয়া চরিত্রের করোনাভাইরাসের হদিশ পাওয়ার খবর মিলেছে। মহারাষ্ট্র সরকারের উপদেষไ্টা জানিয়েছেন, নাগপুর থেকে ঔরঙ্গাবাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিদর্ভের তিনটি জেলায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সংক্রমণ হার। তার জেরে বিদর্ভ এলাকায় নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। মুম্বইয়ে আমজনতার জন্য নয়া সুরক্ষা বিধি জারি করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার মহারাষ্ট্রে ৬,২৮১ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে প্রায় 🐽২৭ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন শুধু মুম্বই এবং অমরাবতী পুরনিগমেই। একইসঙ্গে পরপর দু'দিন রাজ্যে ৬,০০০-এর বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ছ'মাসে এই প্রথম এরকম ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। লাগাতার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, আপাতত ভারতে যে ধরনের করোনা আছে, তার থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে নয়া চরিত্রের করোনা।
একইভাবে পঞ্জাব এবং মধ্যপ্রদেশেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত সাতদিন ধরে লাগ🐭াতার করোনা আক্রান্তের বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ জন জন নয়া আক্রান্তের সংখ্যা হদিশ মিলেছে। একইভাবে মধ্যপ্রদেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর দেশের মধ্যে সবথেকে সক্রিয় আক্রান্ত আছে কেরালায়। আপাতত ভারতের প্রায় ৬২ শতাংশ সক্রিয় রোগী কেরালায় আছেন।