কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরটি-পিসিআর টেস্টে 'ফলস নেগেটিভ' রিপোর্ট নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একাংশের দাবি, নয়া ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের কারণেই কোনও💝 ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকসের অধিকর্তা অনুরাগ আগরওয়াল জানান, আরটি-পিসিআর টেস্টে কোনও করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে। তবে সেই 'ফলস নেগেটিভ' রিপোর্টের সঙ্গে নয়া ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, 'পিসিআর পজিটিভের মাধ্যমে ডবল মিউট্যান্টের সিকোয়েন্সিং করা হয়। তাই এটা কখনও সম্ভব নয় যে আরটি-পিসিআর টেস্ট মিউট্যꦉান্ট ধরা পড়বে না। যদি তাই হত, তাহলে আমরা সিকোয়েন্সিং করতে পারতাম না।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'বিশ্বের সমস্ত সম্ভাব্য সিকোয়েন্সিং নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। ডবল জিন টেস্টিংকে এড়িয়ে যেতে পারে না কোনও স্ট্রেন।'
তিনি জানান, আরটি-পিসিআর টেস্টের সংবেদনশীলতা ৭০ শতাংশ। তাঁর কথায়, 'উপসর্গ দেখতে পাওয়ার একদিন আগে একজনের মুখে এবং নাকে সবথেকে বেশি পরিমাণে ভাইরাস থাকে। তারপর ধাপে ধাপে ভাইরাসের পরিমাণ কমতে থাকে। যদি সাত-আটদিন পরে কেউ পরীক্ষা করিয়ে থাকেন, তাহলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা আছে। কারণ ভাইরাস শরীরের ভিতরে চলে যেতে পারে।' সেইসঙ্গে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োম🐻েডিক্যাল জেনোমিকসের অধিকর্তဣা জানান, উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসা মোটেও নয়া কোনও বিষয় নয়। এমনকী তা নয়া স্ট্রেনের কারণেও হচ্ছে না। গোড়া থেকেই বিষয়টা এরকমই। কেউ যদি নমুনা পরীক্ষায় দেরি করেন, তাহলে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসতে পারে।