চিনা সরকারের 'ভুল'-এর জেরেই হয়ত করোনার নয়া টাইমলাইন পেতে পারে বিশ্ব। করোনা সম্পর্কে গোটা বিশ্বকে চিন অবগত করেছিল ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। চিনের তরফে দাবি করা হয়, ৮ ডিসেম্বর প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হ♔য় সেদেশে। তবে সেদিনের তিন সপ্তাহ আগেই হয়ত করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ভর্তি হয়েছিলেন চিনের হাসপাতালে। ৬১ বছর বয়সী সেই রোগীকে 'সু' বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে 'সু' মারা গিয়েছিলেন।
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্ট্যাটের এক প্রফেসর ইউ চুয়ানহুয়া এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য এক মেডিক্যাল জার্নালকে পাঠান। তাতেই দেখায় যায় যে করোনা সম্পর্কে বেজিংয়ের বিবৃতির তিন সপ্তাহ আগেই সম্ভবত করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই মহিলা। উল্🙈লেখ্য, উহান ল্যাবের থেকে খুব কাছেই থাকতেন সেই রোগী।🌄 তাছাড়া সেই রোগীর বাড়ি একটি রেল স্টেশনের কাছে ছিল। সেই রেল নেটওয়ার্ক এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে অনুমান করা হয়। তাছাড়া সেপ্টেম্বরেও করোনার মতো উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। এরপর নেভেম্বরেও দুই জয়ন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন একই উপসর্গ নিয়ে।
অসুস্থ সেই রোগীকে উহানের রংজুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যেই হাসপাতালে সেই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে, সেই হাসপাতালটি হুনান মার্কেট থেকে মাত্র ১৩ মাইল দূরে ছিল। এই মার্কেটকেই করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছিল। বি𝐆শ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই মার্কেট নিয়ে অভ♚িযোগ জানিয়েছিল তাইওয়ান। এরপরই এই বাজারটিকে ধুয়ে সাফ করেছিল চিনা কর্তৃপক্ষ।
সরকারি ভাবে চিন দাবি করে, ৮ ডিসেম্বর এবং ২ জানুয়ারির মাঝে চিনে ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হন। তবে সম্প্রতি এক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নভেম্বর মা💝সেই উহানের বেশ কয়েকজন গবেষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অসুস্থ গবেষকদের উপসর্গ করোনার সঙ্গে মিলে যায়। এই আবহে করোনার উত্স খুঁজে বের করতে আরও জোর কদমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।